Chandrayan 3 : চাঁদজয়ে আলোর রেশ বীরভূমের দক্ষিণগ্রামে, যাদবপুরের প্রাক্তনী বিজয়কুমারের সাফল্যে খুশির রেশ
West Bengal Chandrayan Connection : চন্দ্রযান ২ -র ব্যর্থতায় ভেঙে পড়লেও এবারে বাড়তি উদ্দমে তৈরি হয়েছে ছেলে, গত চারমাস ধরে চলছিল যাবতীয় কাজ, আনন্দাশ্রুতে ভেসে জানান বিজ্ঞানী বিজয়কুমারের মা শ্যামলী দাই।
ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বীরভূম : সফলভাবে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayan 3)। ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার যাত্রাপথে প্রতিটি ধাপ সফলভাবে পেরিয়েছে বিক্রম (Lander Vikram)। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা (ISRO Scientists)। আর ইসরো থেকে ১৬০০ কিলোমিটার দূরে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম দক্ষিণগ্রামে টিভির পর্দায় সেই দৃশ্য় দেখে শাঁখে ফুঁ দিয়েছেন এক মহিলা। উলু দিচ্ছেন পরিবারের বাকি সদস্যরা। শাঁখ বাজানো বন্ধ করে দু'হাত তুলে দিলেন ভারত মাতার জয়ধ্বনী।
চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফল অবতরণ করেছে চন্দ্রযান-৩, কিন্তু তার জন্য বীরভূমের দক্ষিণ গ্রামের এই পরিবার কেন এত উচ্ছ্বসিত ? আসলে, ইসরো-র সাফল্যে জুড়ে রয়েছেন দাই বাড়ির ছেলে, যাদবপুরের (Jadavpur University) প্রাক্তনী বিজয়কুমার দাই। গতকাল বিকেল থেকেই অধীর আগ্রহে টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রেখেছিল গোটা পরিবার। বিক্রম চাঁদের মাটি ছোঁয়ার মাহেন্দ্রক্ষণে ইসরো-র বিজ্ঞানী বিজয়কুমার দাইয়ের মল্লারপুরের বাড়িতেও বাঁধভাঙা আনন্দ। জাতীয় পতাকা তোলার পাশাপাশি, মিষ্টিমুখ করনো হয় প্রতিবেশীদের। আনন্দে চোখের জল আটকাতে পারেননি মা। চন্দ্রযান ৩-এর অপারেশন টিমের সদস্য বিজয়কুমার দাই।
ইসরোর বিজ্ঞানী বিজয়কুমার দাই-এর (Bijoy Kumar Dai) মা শ্যামলী দাই বলেছেন,'এর আগে চন্দ্রযান-২ যখন ভেঙে পড়েছিল, তখন ছেলেও খুব ভেঙে পড়েছিল। এ বার মাস দুয়েক আগে বাড়িতে এসেছিল। তখন বলে গিয়েছিল চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণ দেখতে। কয়েক দিন থেকে চিন্তায় চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দুপুরে ছেলের ফোন পেয়ে ছেলের নির্দেশে মতো ওষুধ খেয়ে বিকেলে টিভির সামনে বসে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণের ছবি দেখলেন।' আর তাঁর বাবা নারায়ণচন্দ্র দাই বলেছেন, চন্দ্রযান-৩ সফল হয়েছে। বিশ্বের ইতিহাসে ভারতবর্ষ প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখল। আর সেই সাফল্য যাঁরা এনে দিলেন, সেই বিজ্ঞানীদের দলে আমার ছেলে। এ কথা ভেবে অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। আগামীকাল বাড়িতে দেশবাসী ও ছেলের মঙ্গল কামনায় লক্ষ্মীপুজো দেব।
দক্ষিণগ্রাম জগত্তারিণী বিদ্যায়তনের ছাত্র ছিলেন বিজয় কুমার দাই। যারপরে কল্যাণী সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি-টেক ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমটেক করেন তিনি। বিজয়ের সাফল্যে বৃহস্পতিবার স্কুলের ছাত্রেরা গ্রামে চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যে বিজয় উৎসব পালন করে।
আরও পড়ুন- সবে চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে চন্দ্রযান-৩, আবারও কাজে নেমে পড়ল ISRO, ’২৬-এ চন্দ্রযান-৪
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন