Cooch Behar News: ‘আমি বাঁচতে চাই’, ফেসবুক লাইভে এসে প্রাণহানির আশঙ্কায় কান্না তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের
Cooch Behar Political News:প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল নেতা। বললেন, ‘যে কোনও মুহূর্তে আমি খুন হতে পারি। প্রশাসন ও দলকে জানিয়েও বিচার চেয়ে পাইনি।’
কোচবিহার: প্রাণহানির আশঙ্কা । ফেসবুক লাইভে (Facebook Live) এসে কেঁদে ফেললেন কোচবিহারের (Cooch Behar) হাড়িভাঙ্গা পঞ্চায়েতের (Haribhanga Panchayat Pradhan) তৃণমূলের (TMC) প্রধান। আর এই নিয়ে শোরগোল পড়েছে জেলা রাজনীতিতে।
প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন তৃণমূল নেতা। বললেন, ‘যে কোনও মুহূর্তে আমি খুন হতে পারি। প্রশাসন ও দলকে জানিয়েও বিচার চেয়ে পাইনি।’
দলেরই কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। তিনি বলেছেন, তাঁকে মানসিকভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। ওই পঞ্চায়েত প্রধান বলেছেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।
তৃণমূল নেতার কাতর আর্তি , আমি বাঁচতে চাই।
দলের কেউ যুক্ত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে তৃণমূল। দলের জেলার এক নেতা বলেছেন, দলের কেউ যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলের জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মন নিজেই দেখছেন। এ ব্যাপারে খোঁজখবর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই নিয়ে শাসক দলকে খোঁচা দিয়েছে বিজেপি। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই হাঁড়িভাঙা পঞ্চায়েতের প্রধানকে উন্নয়নের কাজে বাধা দিচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। দল ও প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এটা একমাত্র তৃণমূলেই সম্ভব।
কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের হাড়িভাঙ্গা পঞ্চায়েত প্রধান শঙ্কর দেবনাথের ফেসবুক লাইভ ঘিরে তোলপাড় জেলা রাজনীতি। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত অফিসে গেলে তিনি হেনস্থার শিকার হন। তারপরই সোশাল মিডিয়ায় মানসিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেছেন, প্রশাসন ও দলকে জানিয়েও বিচার চেয়ে পাইনি বলে সোশাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছি। এভাবে অত্যাচার চলতে থাকলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
গত নভেম্বর মাসে প্রধানের চেয়ারে বসেন শঙ্কর দেবনাথ।এরপর থেকে একাধিকবার হেনস্থার শিকার হন বলে তাঁর অভিযোগ। কোচবিহারতৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটির সদস্য পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, জেলা সভাপতি বিষয়টি দেখছেন। চেয়ারম্যানের নজরে আনব। দলের কেউ জড়িত থাকলে নিশ্চিতভাবে ব্যবস্থা নেব। কেন হাড়িভাঙায় হচ্ছে তাতে নজর দেব।
কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেছেন, যা দেখতে পাচ্ছেন সবটাই কাটমানির জন্য। তৃণমূলে দল বলে কিছু নেই। কে কাটমানি নেবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব। জেলায় চার-পাঁচটা গোষ্ঠী।
কোচবিহারের কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের থানায় তলব করা হয়েছে।