Diamond Harbour Local Fire: ডায়মন্ড হারবার লোকালে আগুন, হুড়োহুড়ি যাত্রীদের, শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত
Train Fire: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুনের ফুলকি দেখা যায় বলে খবর রেল সূত্রে।
রঞ্জিত হালদার, সুভাষগ্রাম: ডায়মন্ড হারবার লোকাল ট্রেনে আগুন আতঙ্ক। সুভাষগ্রাম স্টেশনে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় বারুইপুরগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এই ঘটনার জেরে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুনের ফুলকি দেখা যায় বলে খবর রেল সূত্রে। এখনও ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে স্টেশনে। (Diamond Harbour Local Fire)
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার দুপুর ১২টা বেজে ২১ মিনিটে সুভাষগ্রাম স্টেশনে ঢোকে ডাউন ডায়মন্ড হারবার লোকাল ট্রেনটি ঢোকে। স্টেশন ছাড়ার আগেই আগুন চোখে পড়ে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগুনের ফুলকি চোখে পড়ে তাঁদের। ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীরা মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় দেন। ট্রেন থেকে নামতে শুরু হয় ঠেলাঠেলি। (Train Fire)
এখনও সুভাষগ্রাম স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওই স্টেশন দিয়েই পাস হয় বারুইপুর, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের পর সেখান দিয়ে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। আতঙ্ক ছড়িয়েছে সুভাষগ্রাম স্টেশনের যাত্রীদের মধ্যেও।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। মেরামতের কাজ চলছে। যান্ত্রিক ত্রুটির জেরেই আগুনের ফুলকি বেরোতে শুরু করে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এক ঘণ্টারও বেশি সময় কেটে গেলেও, এখনও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। এর প্রভাব পড়েছে শিয়ালদা স্টেশনেও। প্ল্যাটফর্ম গিজগিজ করছে মানুষের ভিড়ে। কিন্তু ট্রেন ছাড়ছে না। শুধুমাত্র ক্যানিং এবং বজবজ শাখায় ট্রেন চলছে। দক্ষিণের অন্য সব ট্রেন বন্ধ রয়েছে।
ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনায় হয়রান হচ্ছেন যাত্রীরা। রবিবার যাত্রীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও, শিয়ালদা স্টেশনে ঠায় বসে রয়েছেন অনেকেই। এক যাত্রী জানান, বকখালি যাবেন তিনি। এক-দেড় ঘণ্টা ধরে স্টেশনে বসে রয়েছেন তিনি। স্টেশনে ঘোষণা চলছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানানো হলেও, ট্রেন পরিষেবা কখন স্বাভাবিক হবে, কিছু জানা যাচ্ছে না।
এ নিয়ে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, "সুভাষগ্রামে যে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে রয়েছে, তাতে ব্রেক বাইন্ডিং হয়েছে। সারানো হচ্ছে। এগোতে পারছে না ট্রেনটি। ওই ট্রেনের পিছনে আরও অনেক ট্রেন দাঁড়িয়ে রয়েছে।" পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আরও কিছু ক্ষণ সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।