Dilip Ghosh: পুলিশ রামনবমীর শোভাযাত্রা আটকালে সারাদিন থানা ঘেরাও করে রাখুন, ফের হুঙ্কার দিলীপের
Dilip Ghosh on Ramnabami Celebration: আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা বিপন্ন। বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আর তাই রামনবমীকে হিন্দুরা শক্তি প্রদর্শনের উৎসব হিসেবে পালন করবেন।

Ramnabami: রামনবমী নিয়ে ফের হুঙ্কার দিলীপ ঘোষের। পুলিশ বাধা দিলে এবার থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলীপের। রামনবমীর শোভাযাত্রায় যুবকরা লাঠি নিয়ে বেরোবে। যেখানে পুলিশ বাধা দেবে, মিছিল করে গিয়ে থানা ঘেরাও হবে, এক কোটিরও বেশি হিন্দু রাস্তায় নামবেন, হুঁশিয়ারি দিলীপের। খড়গপুরের রামনবমীর প্রস্তুতি বৈঠকে গদা হাতে দেখা গেল দিলীপ ঘোষকে। লাঠিও খেললেন তিনি। বৃহস্পতিবার, খড়গপুরের শ্য়ামবাবা মন্দিরের মাঠে হিন্দু সনাতনী ঐক্য মঞ্চের তরফে লাঠি খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই কখনও দু-হাতে বোঁ বোঁ করে লাঠি ঘোরালেন দিলীপ ঘোষ। কখনও বা জোড়া গদা তুলে স্লোগান দিলেন।
বিধানসভা ভোটের কড়া নাড়া শুরু হতে এখনও বেশ কিছুটা দেরি। কিন্তু এখন থেকেই চেনা মেজাজে দিলীপ ঘোষ। এর পাশাপাশি বিগত কয়েকদিন ধরেই রামনবমীর উৎসব পালন এবং শোভাযাত্রাকে ঘিরে বাক-বিতণ্ডা চলছে বঙ্গের রাজনৈতিক মহলে। গত কয়েকদিনে একাধিকবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন দিলীপ ঘোষ। কখনও মেলায় গিয়ে দা কিনেছেন। কখনও বা বাক্যবাণে বিদ্ধ করেছেন বিরোধী পক্ষকে। এবার দিলেন থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি।
দিলীপ ঘোষ বলেছেন, পুলিশ, এই পার্টি প্রশাসন হিন্দুদের সহযোগিতা করবে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা এখানে নেমেছি। প্রত্যেক শোভাযাত্রার সঙ্গে আখাড়া থাকবে। লাঠি হাতে হিন্দু যুবকেরা বেরোবেন। সংস্কৃতি এবং জীবন রক্ষার দায়িত্ব হিন্দু সমাজকে তুলে নিতে হবে। যেখানে পুলিশ বাধা দেবে, সেই শোভাযাত্রা নিয়ে গিয়ে থানা ঘেরাও করতে হবে। এক কোটির বেশি হিন্দু রাস্তায় নামবে। যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, হিন্দুরা চাইছেন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে। রামনবমীর উৎসব, শোভাযাত্রা তাদের কাছে একটা বড় সুযোগ। আজ পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা বিপন্ন। বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আর তাই রামনবমীকে হিন্দুরা শক্তি প্রদর্শনের উৎসব হিসেবে পালন করবেন। আমরা পুলিশের সঙ্গেও লড়ব, গুণ্ডাদের সঙ্গেও লড়ব। পশ্চিমবঙ্গের সরকার চলছে কেবল পুলিশ আর গুণ্ডার জোরে। তাই সমাজ এবং ধর্ম রক্ষার জন্য যে সামনে আসবে তার সঙ্গে লড়তে আমরা প্রস্তুত।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেছেন, বাংলার সমস্ত হিন্দু সমাজকে আহ্বান জানাচ্ছি। রামনবমীর উৎসব পালন, শোভাযাত্রা করার অধিকার রয়েছে আপনাদের। পুলিশকে জানিয়ে দিন। পুলিশ বলতে পারে না হিন্দু সমাজ কী করবে, না করবে। পুলিশ যদি অনুমতি না দেয়, বাধা দেয়, তাহলে শোভাযাত্রার ১০ হাজার, বিশ হাজার লোক নিয়ে গিয়ে সারাদিন থানা ঘেরাও করে রাখুন। এর পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, অন্যান্য বারের মতো এবছরও রামনবমীর শোভাযাত্রায় লাঠি খেলায় দেখা যাবে তাঁকে। থাকবে অস্ত্রশস্ত্রও। তাঁর কথায়, খড়গপুরের ঐতিহ্য রামনবমীর শোভাযাত্রায় আখাড়া অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বেরোয়। ব্রিটিশরা বন্ধ করতে পারেনি। পাঠানরাও পারেনি। এরা বন্ধ করতে এলে (বর্তমান সরকার, প্রশাসন) ওদের ছুঁড়ে ফেলা হবে।






















