Haldia : ফের বিতর্কে শ্যামল আদক, সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবসরপ্রাপ্ত চার কর্মীকে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ
ফের বিতর্কে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবসরপ্রাপ্ত চার কর্মীকে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিটন চক্রবর্তী, হলদিয়া ( পূর্ব মেদিনীপুর) : ফের বিতর্কে হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামল আদক। সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবসরপ্রাপ্ত চার কর্মীকে পুনর্নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। হলদিয়া পুরসভার কাছে ওই চার কর্মীর নিয়োগ সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক কাজিয়া।
দুর্নীতির পর এবার সরকারি বিধিভঙ্গের অভিযোগ হলদিয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। নতুন বিতর্কে শ্যামল আদক! হলদিয়া পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে পুরসভার ৪ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে পুনর্নিয়োগ করা হয়। ওই সময় চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন তৃণমূল নেতা শ্যামল আদক। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের অনুমতি না নিয়েই ৪ অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে পুনর্বহাল করেন তিনি।
কেন এবং কীভাবে এই নিয়োগ হয়েছিল, হলদিয়া পুরসভার কাছে সেই নথি তলব করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা সুধাংশু মণ্ডল বলেন, তখনকার বোর্ড ও চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বহাল করেছিলেন। এর জন্য অর্থ দফতরের অনুমোদন দরকার হয়। কিন্তু সেটা করা হয়নি। সেবিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। পুনর্বহাল হওয়া পুরকর্মীরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ বললে তাঁরা কাজ ছেড়ে দেবেন।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গত ২৫ জানুয়ারি হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন শ্যামল আদক। বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। পুরসভার টেন্ডার দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। আদালতের নির্দেশে শ্যামল আদককে পলাতক ঘোষণা করে পুলিশ। সিল করে দেওয়া হয় তাঁর দুটি ফ্ল্যাট। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ বিতর্ককে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শ্যামল আদক যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখন সেই পুরবোর্ড এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আর আজকে যেহেতু শ্যামলবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
যদিও সুধাংশু মণ্ডল বলেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ যদি কোনও অন্যায় করেন, তাহলে তার তদন্ত হবে।
নিয়োগ বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।