Khejuri News:শুনশান রাস্তা, বন্ধ দোকানপাট, শুভেন্দুর ডাকে আজ ১২ ঘণ্টার খেজুরি বনধ
Suvendu Calls For 12 Hours Strike: হিন্দুদের পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগ তুলে, সোমবার ১২ ঘণ্টার খেজুরি বনধ-এর ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা

বিটন চক্রবর্তী, ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: খেজুরিতে জলসায় দু'জনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ! খুনের অভিযোগে অনড় নিহত দু'জনের পরিবার! তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও কাউকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে, এদিনও তৃণমূলকে নিশানা করেছেন শুভেনদু অধিকারী। উত্তর এসেছে তৃণমূলের তরফেও। আজ খেজুরি বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। সকাল থেকে এদিন খেজুরিতে শুনশান রাস্তা, দোকানপাট বন্ধ। মোড়ে মোড়ে চলছে পুলিশের টহলদারি।
আরও পড়ুন, সব 'আশা' শেষ, ৬ দিন নিখোঁজের পর যমুনা নদী থেকে উদ্ধার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী স্নেহার দেহ !
নিহত সুধীরচন্দ্র পাইকের ছেলে নন্দনকুমার পাইক বলেন, আমার তো মনে হচ্ছে এটা মার্ডার। এই খানে দাগ, এই খানে দাগ, এই খানে দাগ, সেগুলো দেখুক। নিহত সুজিত দাসের বাবা শশাঙ্ক দাস বলেন, এটা মার্ডার ছাড়া আর কিছু নয়। খুন? না, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু? পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে জলসায় দু'জনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে ক্রমেই চড়ছে রাজনীতির পারদ!ইতিমধ্যে হিন্দুদের পরিকল্পিতভাবে খুনের অভিযোগ তুলে, সোমবার ১২ ঘণ্টার খেজুরি বন্ধ-এর ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তার আগে রবিবার সামনে আসে ভাইরাল ভিডিও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার, খেজুরির ভাঙনমারিতে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে রহস্যমৃত্যু হয় স্থানীয় বাসিন্দা বছর তেইশের সুজিত দাস ও পঞ্চাশোর্ধ্ব সুধীরচন্দ্র পাইকের। খুনের অভিযোগ তোলে মৃতের পরিবার। তৃণমূলের খেজুরি দু'নম্বর ব্লকের সভাপতি সমুদ্ভব দাস-সহ মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক অভিযোগ দায়ের হয়েছে। যদিও এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, অনুষ্ঠান চলাকালীন অসাবধানতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় দু'জনের।
কাঁথি SDPO দিবাকর দাস বলেন, অনুষ্ঠানের সময় ওরা নাচানাচি করতে গিয়ে হ্যালোজেন লাইটটা ওপর থেকে বয়স্ক লোকের ঘাড়ের ওপর পড়ে। ওঁর সঙ্গে যে যুবক ছেলেটি ছিলেন, ওঁর সংস্পর্শে এসে উনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দিবাকর বলে একটা SDPO আছে, ভোটের সময়ে যাঁকে ঘাড়ধাক্কা মেরেছিল নির্বাচন কমিশন। তারপরে এখন ইলেকট্রিকের শর্ট সার্কিট বলছে। শর্ট সার্কিট যদি হয়, তাহলে হাসপাতালে না গিয়ে, তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে কেন? তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা কে করল? আমরা এটা ছাড়ব না।
এই প্রেক্ষাপটে যে ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি অনুষ্ঠান মঞ্চের ভিডিও। মঞ্চের সামনেই হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে! কানেকশন বন্ধ করার ঘোষণা করছেন একজন। কানেকশনটা বন্ধ কর তাড়াতাড়ি। মাটি থেকে তুলে মঞ্চের ওপরে আনো। তারপরেই অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে এলাকা! যদিও খুনের অভিযোগে অনড় নিহতদের পরিবার। তাদের প্রশ্ন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হলে শরীরে আঘাতের চিহ্ন কীভাবে? এতবড় অনুষ্ঠান হলেও পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি কেন? পুলিশের কেন নজরদারি ছিল না? অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির সবাই পালিয়ে গেলেন কেন?
নিহত সুজিত দাসের বাবা শশাঙ্ক দাস বলেন, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। থানার লাগোয়া একেবারে পাশেই এতবড় অনুষ্ঠান হয়, অথচ সেখানে পারমিশান না নিয়ে বেআইনিভাবে কেন হয়, সেটাও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা পরিকল্পিত মার্ডার ছাড়া আর কিছু নয়। ' নিহত সুধীরচন্দ্র পাইকের ছেলে নন্দনকুমার পাইক বলেন, ইলেকট্রিক শক হলে ২০০-৫০০ জন তো অনুষ্ঠানে ছিল। সেই জায়গায় ২ জন হল। আর কেউ আহত নয়, কিছু নয়। সব পালিয়ে গেছে। অনুষ্ঠান হয়েছিল। তার কমিটির কোনও দায়িত্ব নেই। তাহলে কমিটি মার্ডার করেছে। না হলে এরকম করবে কেন?
এই পরিস্থিতিতে সুর চড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ওই মহরম কমিটির, জলসা কমিটির অনুষ্ঠানের অনুমতি আছে কিনা? ইলেকট্রিক কানেকশন নেওয়া হয়েছে কোথা থেকে? তারা খুন করেছে, ওখানকার তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতা...সবগুলো পালিয়ে গেছে ঘরে তালা-চাবি বন্ধ। সবগুলোকে ঠিক সোজা করব আইনের রাস্তায়।' মৃতদের ময়নাতদন্ত হয় তমলুক জেলা হাসপাতালে।























