Sukanya Mondal: ৩ দিনের ইডি হেফাজতে কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা, নির্দেশ রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের
ED Custody:অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা, সুকন্যা মণ্ডলকে ৩ দিনের ইডি হেফাজত দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। এদিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে ৩ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) কন্যা, সুকন্যা মণ্ডলকে (Sukanta Mondal) ৩ দিনের ইডি (ED Custody) হেফাজত দিল দিল্লির (Delhi) রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। এদিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে ৩ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। গত কালই গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা।
কী দাবি ইডি-র?
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, 'সুকন্যা মণ্ডলের নামে বিভিন্ন কোম্পানি খুলে গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা চলত। টাকা পাচারে সরাসরি জড়িত ছিলেন সুকন্যা মণ্ডল। ব্যাঙ্কে নগদ জমার প্রায় দেড়শো-দু’শো রসিদ মিলেছে যার টাকার অঙ্ক ছিল ১০ কোটির বেশি। অনুব্রতর পরিচারক, রাঁধুনি, সুকন্যার গাড়িচালকরা বিভিন্ন সময়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে টাকা জমা করেন। কে টাকা পাঠিয়েছে, জানতে চাইলে অনুব্রত ঘনিষ্ঠরাই সুকন্যার নাম করেন, ইডি সূত্রে দাবি। গরু পাচার মামলার তদন্তে প্রচুর বাজেয়াপ্ত নথি দেখিয়ে সুকন্যাকে জেরা করা দরকার।' এসবের মধ্যে এদিন ফের সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বলেছেন, ‘আইন আইনের পথে চলুক, সুকন্যা দোষ করে থাকলে শাস্তি হবে। কিন্তু কয়েকদিন আগে যাঁর মা মারা গিয়েছেন, যাঁর বাবা কারাবাসে রয়েছেন, তাঁর গ্রেফতারি কি এড়ানো যেত না? ইডির কাছে সব তথ্যপ্রমাণ থাকলে হেফাজতে নেওয়ার কি প্রয়োজন? ইডি হেফাজতে থাকা তথ্যপ্রমাণ কী ভাবে নষ্ট করবেন সুকন্যা? মাতৃহারা মেয়ে, বাবা জেলবন্দি, তাঁর গ্রেফতারি প্রয়োজন, কিন্তু এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দুকে দেখতে পায় না এজেন্সি।’
'ফলস কেস', বললেন অনুব্রত
এদিকে বৃহস্পতিবার গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআই-এর দায়ের করা মামলাকে 'ফলস কেস' বলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জামিন দেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে আর্জিও জানান বীরভূমে তৃণমূলের (TMC) সভাপতির। সঙ্গে বলেন, "শরীর ভাল নেই। আসানসোলে ফিরিয়ে দিন আমাকে।" এদিন দিল্লিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি চলছিল। তিহাড় জেল থেকে সেই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত এবং তাঁর দেহরক্ষী হিসেবে একসময় কাজ করা সায়গল হোসেন। শুনানি চলাকালীন প্রথমে অনুব্রতকেই প্রশ্ন করেন বিচারক। কেমন আছেন জানতে চাইলে অনুব্রত বলেন, "আমার শরীর ভাল নেই।" আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদনের কী অবস্থা জানতে চান বিচারক। তাতে অনুব্রত জানান, মামলা চলছে। বিচারক মনে করলে তাঁকে আসানসোল জেলে ফিরিয়ে দিতে পারেন। এর পরই বিস্ফোরক দাবি করেন অনুব্রত। সিবিআই-কে কাঠগড়ায় তুলে বলেন, "এমনিতে সব ঠিক আছে। কিন্তু সব মামলা মিথ্যা। আমাকে জামিন দিন।" সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অনুব্রতর এই অভিযোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে, বিশেষত গতকালই যখন গরুপাচার মামলার তদন্তে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
আরও পড়ুন:একটুকরো পাতিলেবুতে ফিরবে ভাগ্য, মিটবে অর্থনৈতিক সমস্যা