(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Leaps & Bounds Case : গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র এক জনের সন্ধান পেলেন! লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংক্রান্ত মামলায় ED কে প্রশ্ন আদালতের
Abhishek Banerjee: আদালতে ED-র আইনজীবী বলেন, ওই অভিনেতার সঙ্গে ৪৪ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। যদিও, টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই অভিনেতা।
সৌভিক মজুমদার, রুমা পাল, সৌমিত্র রায়, কলকাতা : লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের CEO অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ( Abhishek Banerjee ) , ডিরেক্টর এবং চলচ্চিত্র জগতের ব্যক্তিদের সম্পত্তির হিসাব সংক্রান্ত রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে জমা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ( ED )। এর পাশাপাশি, এদিন নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনে যুক্ত এক অভিনেতার নামও আদালতে জানাল ED। এদিন আদালতে ED-র আইনজীবী বলেন, ওই অভিনেতার সঙ্গে ৪৪ লাখ টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। যদিও, টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই অভিনেতা।
এরপর ED-র আইনজীবী বলেন, যতটা তথ্য এবং নথি সংগ্রহ করতে পেরেছি, তার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট। তদন্ত এখনও চলছে। এরপরই ED-র আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে মাত্র এক জনের সন্ধান পেলেন!
আর কেউ আর্থিক লেনদেনে যুক্ত নেই? উত্তরে ED-র আইনজীবী বলেন, তদন্ত চলছে, আরেকটু সময় দেওয়া হোক।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত, অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত এবং যুব তৃণমূলের রাজ্য় সভানেত্রী ও অভিনেত্রী সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ED-সূত্রে দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে বনি সেনগুপ্তর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য মেলে। তার ভিত্তিতে বনিকে জিজ্ঞাবাদও করে ED। এরপরই কুন্তল ঘোষের থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দেন বনি। বনি সেনগুপ্ত সে-সময় বলেছিলেন, ' আমি ৪৪ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছি। আমার একটা ভারডিক্ট হল, ভুল হয়েছিল, সংশোধন করলাম। ' অন্যদিকে, যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষ কুন্তল-যোগ সম্পর্কে বলেছিলেন, 'আমি কুন্তলকে ২০২১-এর শেষ থেকে চিনি, আমি তৃণমূল জয়েন করেছি ২০২১ সালে।'
অন্যদিকে বৃহস্পতিবারই ইডি আইনজীবী হাইকোর্টে দাবি করলেন, প্রেস রিলিজে অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে, লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের সিইও বলার পরেই, প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে পুলিশ। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ED-র আইনজীবী। ২১ অগাস্ট, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে হানা দেয় ED। ২৩ অগাস্ট, ED-র প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংস্থার CEO। ২৫ অগাস্ট, লালবাজারে ফাইল ডাউনলোডের অভিযোগ করেন লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সহকারী হিসাবরক্ষক। ২৭ অগাস্ট, ফাইল ডাউনলোড সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে ED-কে ইমেল করে লালবাজার।
১৩ সেপ্টেম্বর, ED-র ম্যারথন জিজ্ঞাসাবাদের পর লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের সিইও প্রসঙ্গে মুখ খোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, যতক্ষণ মামলা বিচারাধীন, ততক্ষণ ১৬টি ফাইল ডাউনলোড নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না।