SSC Scam: পাটুলিতে অর্পিতার 'নেল আর্টের' দোকানে ইডি-র তল্লাশি, জিজ্ঞাসাবাদ তৃণমূল কাউন্সিলরকে
ED Searches Nail Shop: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নেল আর্টের দোকানে তল্লাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।

আবির দত্ত, কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee) ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (arpita mukherjee) নেল আর্টের (nail art) দোকানে তল্লাশি (search) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED)। এদিন পাটুলির 'ম্যাজিক টাচ, দ্য নেল প্লেস' দোকানটিতে অভিযান করেন ইডি আধিকারিকরা। কথা বলা হয় সংশ্লিষ্ট এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গেও। তদন্তকারীদের ধারণা, নেল আর্টের দোকান কিনতে বা ভাড়া নিতে সাহায্য নেওয়া হয়েছিল কাউন্সিলরের।
কী হয়েছে?
সূত্রের খবর, তালাবন্ধ দোকানটি প্রথমে খুলতে পারেননি ইডি আধিকারিকরা। পরে চাবিওয়ালা ডেকে তালা খোলা হয়। যে এলাকায় ওই অর্পিতার ওই 'নেল আর্ট'-র দোকান রয়েছে, সেটি ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এদিন সেই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাসকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। দোকানটি যে বিল্ডিংয়ে, সেই বিল্ডিংয়েই একটি ফ্ল্যাট রয়েছে প্রসেনজিতের। সূত্রের খবর, এদিন তাঁর সঙ্গে কথা বলে বিশদ তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন তদন্তকারীরা। দোকানটি তিনি বিক্রি করেছিলেন নাকি ভাড়া দিয়েছিলেন, সেটা জানার চেষ্টা করা হয় বলে শোনা যায়। অর্পিতার সঙ্গে কী চুক্তি হয়েছিল, কত টাকায় চুক্তি হয়েছিল, কত জন ওই দোকানে কাজ করতেন সেটাও জানার চেষ্টা করে ইডি, বলছে সূত্র। পাশাপাশি চলে তল্লাশিও। দুঘণ্টা পেরিয়েও সেখানে রয়েছেন তদন্তকারীরা। যদিও প্রসেনজিতের দাবি, দোকান কেনা বা লিজের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। তবে কিছু নথিপত্র সম্ভবত পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যেতে পারেন তদন্তকারীরা।
তদন্ত যেখানে...
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সপ্তাহখানেক আগেই রাজ্যের প্রাক্তন স্কুলশিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডি সূত্রে দাবি, অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে অন্তত ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে বিপুল সোনার গয়না, বাট। সঙ্গে একগুচ্ছ নথি যার তল খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। তবে ইডি সূত্রে খবর, এর মধ্যেই যা উঠে এসেছে তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। অর্পিতা, তাঁর আত্মীয় ও আরও একাধিক ব্যক্তির নামে বিপুল জমি কেনা হয়েছিল, দাবি তদন্তকারীদের। দুটি রিয়েল এস্টেট সংস্থারও খোঁজ পেয়েছে ইডি, দাবি সূত্রে। এদিন তদন্তের কাজেই মাদুরদহের ওম ভিলা আবাসনে যান ইডি আধিকারিকরা। অর্পিতার অবশ্য দাবি, সমস্ত টাকাই তাঁর অনুপস্থিতিতে ঢোকানো হয়েছিল। প্রাক্তন মন্ত্রীর দাবি, টাকা তাঁর নয়। সবটাই ষড়যন্ত্র।
সব মিলিয়ে প্রতি মুহূর্তে যেন রহস্যের খাসতালুক এই এসএসসি দুর্নীতি।
আরও পড়ুন:' TMC নেতা-নেত্রী-সহ শ'খানেক নাম জমা দিয়েছি’ অমিত-সাক্ষাৎ শেষে দাবি শুভেন্দুর






















