WB College: একাধিক পদ খালি, নেই স্থায়ী শিক্ষক, রাজ্যের কোন কলেজের কেমন ছবি?
West Bengal: ক্লাস পিছু কলেজের অতিথি অধ্যাপকের বেতন মাত্র ১০০ টাকা। চাপের মুখে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের নাথানিয়াল মুর্মু মেমোরিয়াল কলেজ।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: গেস্ট লেকচারারকে ক্লাসপিছু ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা দিতেই হবে, উল্লেখ UGC-র গাইডলাইনে। তবুও, কোথাও ক্লাসপিছু একশো টাকা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি, আবার কোনও কলেজে তেইশ বছর কমার্সে স্থায়ী শিক্ষকই নেই। এবিপি আনন্দের সমীক্ষায় উঠে এলে চাঞ্চল্যকর তথ্য। (WB College)
ক্লাস পিছু কলেজের অতিথি অধ্যাপকের বেতন মাত্র ১০০ টাকা। চাপের মুখে এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের নাথানিয়াল মুর্মু মেমোরিয়াল কলেজ। কিন্তু দক্ষিণ দিনাজপুরের কলেজের এই ছবি কি রাজ্যের অন্য কলেজগুলির থেকে আলাদা? কেন ১০০, ৩০০, ৫০০ টাকার বিনিময়ে চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক নিতে হচ্ছে? সরকারি তথ্য় বলছে, রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ৫০৮টি কলেজে অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১৩ হাজার ২৭৩। সেখানে শিক্ষক রয়েছেন ১১ হাজার ৯৩৩ জন। বাকি পদ খালি। রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত পদ ৪ হাজার ৭০০টি। সেখানে শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২ হাজার ৯৪৯ জন। অর্থাৎ প্রায় ৫০ শতাংশ পদই খালি।
অধিকাংশ কলেজগুলিতে পঠনপাঠন নির্ভরশীল স্টেট এডেড কলেজ টিচার বা SACT এর ওপর, যার সংখ্যা ১২ হাজার ৯৭৫। কিন্তু বাস্তবের ছবিটা কী? আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু কলেজে প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ১ হাজার ১০ জন।৩টি বর্ষ মিলিয়ে এখানকার ছাত্র-ছাত্রী সংখ্য়া সাড়ে ৩ হাজারের ওপর।কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ২৩ বছর ধরে একজনও পূর্ণ সময়ের অধ্যাপক নিয়োগ করেনি সরকার। কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণচন্দ্র মাইতি বলেন, “সরকারকে বারবার আবেদন করেছি, শোনেনি। কোনওরকমে ক্লাস চালানো হচ্ছে। এবার তো মার খেয়ে যাব।’’ কার্যত একই ছবি গড়িয়াহাটের বাসন্তী দেবী কলেজের। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, সেখানে ৬টি বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস চলছে, কিন্তু এখনও কোনও স্থায়ী শিক্ষক পদের অনুমোদন মেলেনি।
এরমধ্যেই আবার, কলকাতার নেতাজি নগর কলেজ ফর উইমেনে মাসে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অস্থায়ী অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। অথচ, UGC-র নিয়ম বলছে কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসপিছু গেস্ট লেকচারারদের পারিশ্রমিক হওয়া উচিত দেড় হাজার টাকা। মাসে এই পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু, তারপরও রাজ্য়জুড়ে শিক্ষার সঙ্গে কেন এই আপোশ?