Firhad Hakim: পূর্বপুরুষের পাপ বয়ে বেড়াচ্ছি, বেকারত্ব প্রশ্নে বামেদের কাঠগড়ায় তুললেন ফিরহাদ
Firhad Hakim: ফিরহাদ বলেন, “বেকারত্ব এক দিনে শেষ হবে না। ধীরে ধীরে উন্নয়ন হচ্ছে। সর্বভারতীয় পরিসংখ্যান দেখুন। জাতীয় জিডিপি-র নিরিখে আমরা এখনই এগিয়ে রয়েছি। আগামী দিনে সব ক্ষেত্রে বাংলাই পথ দেখাবে।”
কলকাতা: কর্মসংস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাঁর সরকার। ২০১১-র পর থেকে রাজ্যে তিন গুণ বেশি কর্মসংস্থানের (West Bengal Employment) খতিয়ান দিতে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই প্রতিশ্রুতিপূরণের অঙ্গীকার করলেও, কলকাতার ভাবী মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) জানালেন, রাতারাতি বেকারত্ব ঘোচানো সম্ভব নয়। আস্তে আস্তেই লক্ষ্যপূরণের দিকে এগোতে হবে।
এবিপি আনন্দ আয়োজিত ‘যুক্তি-তক্কো’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন ফিরহাদ। সেখানে কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে কড়া ভাষায় জবাব দেন তিনি। ফিরহাদ বলেন, “বেকারত্ব এক দিনে শেষ হবে না। ধীরে ধীরে উন্নয়ন হচ্ছে। সর্বভারতীয় পরিসংখ্যান দেখুন। জাতীয় জিডিপি-র নিরিখে আমরা এখনই এগিয়ে রয়েছি আমরা। আগামী দিনে সব ক্ষেত্রে বাংলাই পথ দেখাবে।”
২০১১-য় ক্ষমতা দখলের পর থেকে এত দিনে রাজ্যে কত কর্মসংস্থান হয়েছে, তা নিয়ে লাগাতার বিরোধীদের প্রশ্নের পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে। বছর বছর ব্যবসা সম্মেলন করে কত বিনিয়োগ আসছে, তাতে কত মানুষ চাকরি পাচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও (Jagdeep Dhankhar)।
আরও পড়ুন: Sougata Roy: বিজেপি একটা ছোট বেলুন, এটাকে ফুলিয়ে অনেক বড় করা হয়েছে, তীব্র কটাক্ষ সৌগতর
কিন্তু আগের সরকারের পূর্বতন বাম সরকারের (Left/CPM) কৃতকর্মের মূল্য আজও চুকিয়ে চলেছেন বলে মন্তব্য করেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, “পূর্বপুরুষের পাপের বোঝা বয়ে চলেছি। হাজার টাকা নিয়ে বাজারে গিয়েও পাঁচটা দোকান ঘুরে দেখেন মানুষ। যাঁরা কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের ১০ বছর সময় লেগেছে। বার বার প্রশ্ন তুলেছেন, ফের লাল ঝান্ডা উঠবে না তো? ফের বনধ হবে না তো? ধীরে ধীরে পাল্টাচ্ছে অবস্থা। ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পে ৪৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এসেছে।”
কাজের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে কেন যেতে হচ্ছে রাজ্যের মানুষকে, তা নিয়েও একাধিক বার প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে মমতা সরকারকে। এর জন্যও বাম আমলকেই দায়ী করেন ফিরহাদ। তাঁর দাবি, তাঁরা যখন সদ্য কলেজ পেরিয়েছেন, সেই সময় কম্পিউটারের বিরুদ্ধে জ্যোতি বসু-সহ (Jyoti Basu) বামপন্থী নেতাদের রাস্তায় প্রতিবাদ করতে দেখেছিলেন। সেই হাঙ্গামা দেখেই রাজ্যে থাকার সাহস পাননি প্রযু্ক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত যুব সমাজ। বাংলায় ভবিষ্যৎ নেই দেখে অন্য রাজ্যে কাজের খোঁজে যেতে শুরু করেন তাঁরা। তবে তবে তৃণমূল সরকার সব চেষ্টা করছে, যাতে কাজের খোঁজে বাইরে যেতে না হয় রাজ্যের মানুষকে।