C. V. Ananda Bose: আরও তীব্র রাজ্য়-রাজ্যপাল সংঘাত, ৬ উপাচার্যকে শোকজ রাজ্যপালের
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটের পর এবার আরও একধাপ এগিয়ে ৬ উপাচার্যকে শোকজ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস!
রুমা পাল, কলকাতা: রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত আরও তীব্র হল । বারবার বলা সত্ত্বেও কেন পাঠানো হয়নি সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট? প্রশ্ন তুলে ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক লেনদেন নিয়ে রাজভবনের বিজ্ঞপ্তি সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট তলব। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিটের পর এবার আরও একধাপ এগিয়ে ৬ উপাচার্যকে শোকজ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস!
সম্প্রতি রাজভবনের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত শুরু হয়। যেখানে বলা হয়েছিল, আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আগে আচার্য তথা রাজ্যপালের অনুমোদন নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে কী কাজ হচ্ছে, তা রিপোর্ট আকারে, প্রতি সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে, ইমেল করে রাজভবনকে জানাতে হবে। উপাচার্যরা যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি আচার্যের সঙ্গে টেলিফোন অথবা ইমেল মারফত কথা বলতে পারবেন। রাজভবনের এই বিজ্ঞপ্তি ঘিরে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যপালের সম্মান রেখেই বলব, এই নির্দেশিকা যেন প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু তারপরও বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার তো করা হয়নি, উল্টে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সারপ্রাইজ ভিজিট করেন রাজ্যপাল এবং আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
আর এবার, সাপ্তাহিক রিপোর্ট না পাঠানোর অভিযোগে পুরুলিয়ার সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় বারাসাত স্টেট ইউনিভার্সিটি, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল ও সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শোকজ করলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়, গত ১৩ এপ্রিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক কাজের রিপোর্ট পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৯ মে, রিমাইন্ডার দেওয়া সত্ত্বেও কোনও রিপোর্ট পাঠানো হয়নি।
বিশ্বদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের সুবিধা ও পড়ুয়াদের স্বার্থে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত আরও তীব্র হল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছ থেকে সপ্তাহান্তে রিপোর্ট চেয়ে গত মাসেই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল রাজভবনের তরফে। কিন্তু, সেই রিপোর্ট রাজভবনে জমা না পড়ায় ফের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদেরকে চিঠি পাঠানো হয় রাজভবনের তরফে। এই নিয়েই নতুন করে শুরু হয়েছে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত।
আরও পড়ুন: PM Narendra Modi: দেশে সবচেয়ে 'জনপ্রিয়' মোদি! লাফ রাহুলের জনপ্রিয়তায়ও! কোন সমীক্ষায় খোঁজ?