HC on Panchayat Poll: 'জ্যাংড়ায় ভোটের ফল মামলার চূড়ান্ত রায়ের ওপর নির্ভর করবে', নির্দেশ বিচারপতির
HC on Jyangra Poll: রাজারহাটের হাতিয়াড়া জ্যাংড়ায় জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী। আদালত রাজ্য পুলিশের ডিজির রিপোর্ট তলব করেছিল,আজ সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। কী নির্দেশ বিচারপতির?
কলকাতা: ভোট বয়কটের বুথেই পড়েছিল প্রায় অধিকাংশ ভোট (Panchayat Election 2023)। এমন ভুতুড়েকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত বিতর্কের ঝড় উঠেছিল রাজ্য রাজনীতিতে।'মানুষ ভোট দিতে গেল না, কীভাবে ভোট পড়ল ?' এনিয়ে বিস্ময়প্রকাশ করেছিলেন খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিন্হা (HC Justice Amrita Sinha)। এবার সেই মামলায় এদিন তিনি নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছেন, 'রাজারহাটের হাতিয়াড়া জ্যাংড়ায় ভোটের ফল মামলার চূড়ান্ত রায়ের ওপর নির্ভর করবে।'
মূলত, হাতিয়াড়া এবং জ্যাংড়ায় পঞ্চায়েত ভোটে এলাকাবাসী ভোট বয়কট করেছিল। তারপরেও ১০০ শতাংশ ভোট পড়ল কী করে, প্রশ্ন তুলে মামলা হয় হাইকোর্টে। রাজারহাটের হাতিয়াড়া জ্যাংড়ায় জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী (TMC Winner Candidate)। আদালত রাজ্য পুলিশের ডিজির রিপোর্ট তলব করেছিল,আজ সেই রিপোর্ট জমা পড়ে। এদিন জমা পড়ে বিডিও-র হলফনামাও। এই মাসের শেষ সপ্তাহে হবে শুনানি।
পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election 2023) মিটতেই উঠে আসে ভুরি ভুরি অভিযোগ। রাজ্যের জেলায় জেলায় ছাপমারা ব্যালট উদ্ধার হয়। প্রশ্ন উঠেছে কত সংখ্যক ব্যালট আদৌ পৌছাতে পেরেছে গণনাকেন্দ্র অবধি। তবে ছাপ্পা ভোট থেকে শুরু করে, প্রয়াত ব্যাক্তির জায়গায় ভোট দেওয়ার ঘটনা এ রাজ্যে আগেও বহুবার উঠে এসেছে। তবে এসব ছাড়িয়ে যায় জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নং পঞ্চায়েত।
মূলত যে বক্তব্যের ভিত্তিতে ভোট বয়কট করা হয়েছিল, তা হল, মনোনয়ন পত্র জমা ঘিরে একাধিক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী দলের অনেকেই প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সন্ত্রাসের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। ফলত এই ইস্যুকে সামনে রেখেই স্থানীয়া ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে, জ্যাংড়া হাতিয়াড়া ২ নং পঞ্চায়েতে যে বুথে ভোট বয়কট করা হয়েছিল, সেই বুথে কী করে ভোট পড়ল ? এই অদুভুত ঘটনা কী করে ঘটল, তার তদন্তেই আইজি-ডিজিকে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন, নিয়োগের দাবিতে ধর্মতলায় দন্ডি কাটলেন চাকরিপ্রার্থীরা
প্রসঙ্গত, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট হবার আগেই কড়া নিরাপত্তা জারি হয়েছিল। যাতে কোনওভাবে ছাপ্পা ভোট বা রিগিংয়ের ঘটনা না ঘটে, পাশাপাশি হিংসার কোনও ঘটনাকে ঢাল বানিয়েও যাতে কোনও কারচুপি না হয়, তা নিয়েও কম নজর রাখা হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত ভোটের পর ফের প্রকাশ্যে এল একের পর এক গুরুতর অভিযোগ। কার্যতই এই ঘটনা প্রকাশ্য়ে আসতেই চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও।