Hooghly: গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা, গ্রেফতার ১
Hooghly News: এরপর প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও গাড়ি হাতে পাননি মমতাজ বাবু। তিনি গাড়ির প্রসঙ্গ তুলতেই তা এড়িয়ে যেতে শুরু করেন অভিযুক্তরা।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: গতিধারা প্রকল্পের (Gatidhara Project) গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা (Fraud)। এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ। ২০১৯ সালে হুগলির চাপদানির ব্যবসায়ী (Buisnessman) মহম্মদ মমতাজ আনসারিকে গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মহম্মদ সাকিব। এরপর কলকাতার অফিসে মমতাজকে ডেকে পাঠায় সাকিব। সেখানে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁদের ছবি দেখিয়ে বলে তাদের সঙ্গে সবার পরিচয় আছে তাই তাড়াতাড়ি গতিধারা প্রকল্পের গাড়ি তিনি পাইয়ে দিতে পারবেন। মমতাজের কাছ থেকে এরপর বিভিন্ন কিস্তিতে মোট ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার একশ টাকা নেয় অভিযুক্তরা।
এরপর প্রায় দুই বছর কেটে গেলেও গাড়ি হাতে পাননি মমতাজ বাবু। তিনি গাড়ির প্রসঙ্গ তুলতেই তা এড়িয়ে যেতে শুরু করেন অভিযুক্তরা। মমতাজবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারনার শিকার হয়েছেন। এ বছর এপ্রিল মাসে চন্দননগর কোর্টে ও ভদ্রেশ্বর থানায় মহম্মদ সাইফ, মহম্মদ সাকিব ও সাবির আলির নামে অভিযোগ জানান মমতাজ আনসারী। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে সাইফকে গ্রেপ্তার করে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।
বুধবার চন্দননগর কোর্টে তোলা হলে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। শনিবার আবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দেয় আদালত। মমতাজের আইনজীবী দিগন্ত মুখার্জী বলেন, শুধু মমতাজের সাথেই নয় চাপদানি, ভদ্রেশ্বর এলাকার অনেকের সাথেই এরকম প্রতারণা কোর্স হয়েছে। গরিব মানুষকে সাবসিডিতে গাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণা চালিয়ে গেছে এই তিন জন। অভিযুক্তরা সম্পর্কে বাবা ও দুই ছেলে। সেয় ট্রান্সপোরেশন এন্ড লজিস্টিক প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি বেসরকারি কোম্পানি খুলে তার ব্যানারে প্রতারণা চালাত অভিযুক্তরা। ছোটো ছেলে সাইফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি দুই অভিযুক্ত বড় ছেলে মহম্মদ সাকিব ও বাবা সাবির আলীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে ভদ্রেশ্বর থানার পুলিশ।
সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণ
কিছুদিন আগে একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থেকে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে আটক করেছিল পুলিশ। প্রতারণার অভিযোগে তাঁর ছেলেকেও আটক করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে দাবি, অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়ি থেকে প্রচুর চাকরি সংক্রান্ত নথি, একাধিক সরকারি দফতরের নামাঙ্কিত কাগজ ও প্যাড উদ্ধার হয়েছে।