Bandel Protest : এক হাতে ঝাঁটা, আরেক হাতে গোলাপ, ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরে জবরদখলকারীদের গাঁধীগিরি!
উচ্ছেদের নোটিসের পাল্টা ঝাঁটা হাতে পথে! পরে গোলাপ দিয়ে গাঁধীগিরি!এমনই ছবি দেখা গেল হুগলির ব্যান্ডেলে।সেখানে জবরদখলকারীদের উচ্ছেদের নোটিস দিয়েছে রেল।কিন্তু পুনর্বাসন ছাড়া জমি ছাড়তে নারাজ স্থানীয়রা।
সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্যান্ডেল (হুগলি) : এক হাতে ঝাঁটা, আরেক হাতে গোলাপ। উচ্ছেদ ঠেকাতে ঝাঁটা নিয়ে পথে নেমে, গোলাপ দিয়ে গাঁধীগিরি।বৃহস্পতিবার অফিস টাইমে ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরে দেখা গেল এমনই দৃশ্য।
উচ্ছেদের নোটিসের প্রতিবাদ
সম্প্রতি, হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন লাগোয়া আমবাগানে রেলের জমিতে জবরদখল উচ্ছেদের জন্য শতাধিক পরিবারের কাছে নোটিস যায়। তারই বিরুদ্ধে এদিন পথে নামেন এলাকার বাসিন্দারা। নেতৃত্বে ছিলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিধায়কের নেতৃত্বে ঝাঁটা হাতে ব্যান্ডেল স্টেশন (Bandel Station) অবধি মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘেরাও করা হয় রেলের আধিকারিকের দফতর।
কী দাবি বিক্ষোভকারীদের
বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি, উপযুক্ত পুনর্বাসন ছাড়া তাঁরা জায়গা ছাড়বেন না! সকাল সাড়ে ১০ থেকে বেলা সাড়ে ১২টা অবধি ব্যান্ডেল স্টেশনের বাইরে রেলের অফিস ঘিরে বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য শোনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষ ৬ জনকে ডেকে পাঠায়। বিধায়কের নেতৃত্বে সেই প্রতিনিধি দল ভিতরে গিয়ে রেলের আধিকারিকের হাতে তুলে দেয় গোলাপ। আলোচনাও চলে।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
কিন্তু, শেষ অবধি পুনর্বাসন জট এখনও কাটেনি। বরং পুনর্বাসন কে দেবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলছেন, 'রাজ্য জমি অধিগ্রহণ করলে আগে পুনর্বাসন দেয়, রেলই এখানে করছে যখন তাদেরই দিতে হবে।' পাল্টা হুগলির বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেছেন, 'রেলের হাতে সামান্য কিছু জমি, অনেক প্রকল্পই আছে, রাজ্যকে পুনর্বাসন দিতে হবে।'
এদিকে, রেল আধিকারিক বলেছেন, 'সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পরেই সেই জায়গা খালি করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয় রেলের পক্ষ থেকে। পুনর্বাসন দেওয়ার হলে রাজ্য দেবে, রেল দিতে পারে না।'
সরকারি প্রকল্পের কৃতিত্ব কার? তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের টানাপোড়েন চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এবার ব্যান্ডেলে রেলের জমিতে উচ্ছেদের নোটিস ও পুনর্বাসনের দাবি ঘিরে সেই টানাপোড়েন ফের প্রকাশ্যে চলে এল।
আরও পড়ুন- বাড়ছে বৃষ্টির ঘাটতি, নির্জলা জমিতে আমন রোপণের কাজ না হওয়ায় মাথায় হাত জেলার কৃষকদের