Jhargram News: হাতির হানায় ভেঙেছে ঘর, ৬ মাস ধরে কর্মতীর্থে বাস দুই পরিবারের
Elephant Attack: গত বছর ১৯ অগাস্ট রাতে দলমার দাঁতালের তাণ্ডবে ঘর ছাড়া হয় দুই পরিবার। চূনপাড়া গ্রামের শশাঙ্ক হালদার ও বাবুরাম বিশ্বাসের মাটির বাড়ি ভেঙে যায়।
অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: হাতির (Elephant Attack) হানায় ঘর ভেঙেছিল ৬ মাস আগে। কিন্তু এখনও মিলল না সেই ঘর। গত ৬ মাস ধরেই কর্মতীর্থে বাস দুই পরিবারের। ঘটনা ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইল ব্লকের। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস প্রশাসনের।
কর্মতীর্থে বাস দুই পরিবারের: গত বছর ১৯ অগাস্ট রাতে দলমার দাঁতালের তাণ্ডবে ঘর ছাড়া হয় দুই পরিবার। চূনপাড়া গ্রামের শশাঙ্ক হালদার ও বাবুরাম বিশ্বাসের মাটির বাড়ি ভেঙে যায়। পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ওই ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করে। পরে বনদফতরের তরফে আশ্বাস ক্ষতিপূরণে দেওয়া হয়। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২টি পরিবারকে কর্মতীর্থে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। সেদিন থেকেই পরিবার ও গবাদি পশু নিয়ে কর্মতীর্থেই দিন কাটাচ্ছে ২ টি পরিবার। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার আশ্বাস তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ সমস্যা সমাধান করা হবে।
বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা: হাতির হানায় (Elephant Attack) বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনা। এবার মারমুখী হাতিকে চিহ্নিত করে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর তোড়জোড় বন দফতরের। উত্তর বনবিভাগের বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড় এলাকায় দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনবিভাগ। ঘটনায় মৃত দুই পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মারমুখী হাতিকে ট্রাকিং করার কাজ শুরু করল বনদফতর। আগামী দুদিনের মধ্যেই মারমুখী হাতিকে ট্রাক করে ধরে উত্তরবঙ্গে পাঠানোর পরিকল্পনা বনবিভাগের। শুরু হয়েছে মারকুটে হাতিটিকে ধরার প্রস্তুতি পর্বও। এদিকে আর যাতে হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা না ঘটে হাতির দলের উপর বিশেষ নজরদারিরও ব্যবস্থা নিয়েছে বনদফতর।
বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়া এলাকায় রয়েছে ৮০টির বেশি হাতি। মঙ্গলবার রাতে বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়া এলাকায় দুটি পৃথক ঘটনায় হাতির আক্রমণে দুজনের মৃত্যু হয়। তাতেই ঘুম উড়েছে বনবিভাগের কর্তাদের। মঙ্গলবার রাতে বড়জোড়া রেঞ্জের ঝরিয়া গ্রামে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ঢুকে হাতি আক্রমণে প্রাণ গিয়েছে এক বৃদ্ধার। যা আরও বেশি করে চিন্তা বাড়িয়েছে বন দফতরের। হাতিটি যেভাবে আক্রমণ করছে তাতে ওই হাতির আচরণও বনদফতরের মনে সন্দেহ তৈরি করেছে। দলের মধ্যে থেকেই এই হাতি ফের হামলা চালাতে পারে বলেও মনে করছেন বনদফতরের কর্তারা। তাই ওই হাতিকে ক্লোজ নজরদারির মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Chicken Pox: রাজ্যে বাড়ছে চিকেন পক্সে আক্রান্তের সংখ্য়া, সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকদের