Fire Burns Woman: শাড়িতে আগুন, মোবাইলে গেমে বিভোর গৃহবধূ খেয়াল না করায় বড় বিপর্যয়
Jalpaiguri News:মোবাইলে গেম খেলতে এতই বিভোর যে কখন শাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল, খেয়ালই করেননি গৃহবধূ। সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি শিখা রায়।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: মোবাইলে গেম খেলতে এতই বিভোর যে কখন শাড়িতে আগুন লেগে গিয়েছিল, খেয়ালই করেননি গৃহবধূ (Housewife Suffers Burn Injuries)। সেখান থেকে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি শিখা রায়। গত কাল রাতে খাগড়াবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হঠাৎ কলোনিতে এই ঘটনা ঘটে। শিখা রায় নামে ওই গৃহবধূকে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কী জানা গেল?
গতকাল রাতে বাড়িতেই মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে আগুনে তাপ পোহাচ্ছিলেন শিখা রায়। কখন যে তাঁর শাড়িতে আগুন ধরে যায়, খেয়াল করেননি। গেমে-বিভোর থাকা শিখার গোটা শাড়িতে যখন আগুন ছড়িয়ে গিয়েছে, তখনই চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। চিৎকার শুনে তাঁর স্বামী শ্যামল রায় এবং আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী কালে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিখাকে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গৃহবধুর হাত এবং কোমর থেকে শরীরে নিচের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে খবর। তবে ৭২ ঘণ্টা না যাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। একরকম কঠিন লড়াই চলছে, বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
আসক্তিতে মৃত্যু...
এর আগে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে, অনলাইন গেমে আসক্ত হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটে হুগলির গোঘাটের ধুলেপুর গ্রামের। যুবকের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান বাড়ির লোকজন। পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম শুভদীপ ঘোষাল। জানা যায়, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার পর শুভদীপ ভিন রাজ্যে কিছুদিনের জন্য কাজে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে ফের চলে আসেন। তাঁর বাবা কাশীনাথ ঘোষালের একটি ছোটখাটো স্টেশনারি দোকান ছিল। আর্থিকভাবেও অনটনে ছিল পরিবারটি। যদিও বাবার দোকানে বসতেন না, ব্যবসাও দেখতেন না শুভদীপ। পরিবারের দাবি, শুভদীপ রাত জেগে মোবাইলে গেম খেলতেন আর দিনের বেলায় ঘুমাতেন। ঘর থেকেই বেরোতেন না। কোন কাজ কর্মও করতেন না। সারা দিন রাত শুধু মোবাইল নিয়েই বসে থাকতেন বলে জানান পরিবারের লোকজন। এই নিয়ে পরিবারেও নানান ভাবে ঝামেলা হত। মোবাইল গেমেই আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এখান থেকেই গ্রামবাসী ও পরিবারের লোকজনের ধারণা, মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:গঙ্গাসাগর মেলায় ভেসেলের ভাড়া বাড়িয়ে টাকা আত্মসাৎ রাজ্য সরকারের? বড় অভিযোগ শুভেন্দুর