Anish Murder Case Update: 'আমাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে, ওসির নির্দেশে গিয়েছিলাম' বিস্ফোরক দাবি ধৃতদের
‘আমরা ওসি-র নির্দেশে গেছিলাম, আমাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে, আমরা কিছু জানি না’ বৃহস্পতিবার এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন দুই ধৃত।
কলকাতা: ‘আমরা ওসি-র নির্দেশে গিয়েছিলাম, আমাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে, আমরা কিছু জানি না’ বৃহস্পতিবার (Thursday) এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন দুই ধৃত (Arrested)। এদিন পুলিশ ভ্যান থেকে তাঁরা জানান, ‘থানা থেকে ওসি-র নির্দেশে গিয়েছিলাম আনিসের বাড়িতে (Anis Khan)। আমরা নির্দোষ। আমাদের বলির পাঁঠা করা হয়েছে। আনিসের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে জানি না,’ বিস্ফোরক দাবি ধৃত হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা ও সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যর।
আজ দু’জনকেই পেশ করা হবে উলুবেড়িয়া আদালতে (Uluberia Court)। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হবে সে রাতে কী ঘটেছিল? কী কারণে, কারা আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন? ধৃত দু’জনের কাছ থেকে আনিস হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রাথমিকভাবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
অন্যদিকে আনিস হত্যাকাণ্ডে আমতা থানার এক অফিসার-সহ চারজনকে ফের তলব সিটের (SIT)। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে ওই দিন RT ভ্যানের ডিউটিতে থাকা পুলিশ কর্মীদেরও। সূত্রের খবর, জানতে চাওয়া হবে কার নির্দেশে এবং কী কারণে শুক্রবার আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ? সেখানে কী ঘটেছিল? পুলিশ কর্মীরা পালিয়েই বা এসেছিলেন কেন? পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন আমতা থানার টেবল ডিউটি অফিসারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: নির্দল প্রার্থীকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
এদিকে এখনও সিবিআই তদন্তেই অনড় আনিসের পরিবার। রাজ্য সরকারের তৈরি সিটে অনাস্থা প্রকাশ করে, আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত চেয়েছে মৃত আনিস খানের পরিবার। বুধবার প্রশাসনের তরফে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রস্তাব দেওয়া হলে, তা-ও খারিজ করে দেন তাঁরা। অন্যদিকে, এদিনই মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি দাবি করেন, সিটের তদন্তে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যদিও, তা মানতে নারাজ আনিসের (Anis Khan) পরিবার। আনিস হত্যাকাণ্ডে এবার সিবিআই (CBI) তদন্তের দাবি যাদবপুরেও (Jadavpur University)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের বাইরে অবস্থানে বসলেন প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক দেবমাল্য বন্দ্যোপাধ্যায়।