Humayun Kabir: 'বাবরি' নির্মাণকাজের শুরু হওয়ার আগেই দোকান খোলার হিড়িক! মসজিদের জন্য ট্রাঙ্ক-বস্তায় আসছে কোটি টাকা অনুদান!
Babri Masjid: মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত 'বাবরি' মসজিদের সবে শিলান্যাস হয়েছে। নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। আর তাতেই এই জায়গাটার চেহারা বদলে গেছে।

সন্দীপ সরকার এবং পার্থপ্রতিম ঘোষ, মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত 'বাবরি' মসজিদের নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। তারমধ্যেই সেই চত্বরে জাতীয় সড়কের দু'পাশে দেখা গেল দোকান খোলার হিড়িক! অন্যদিকে, শনিবারই, বহরমপুরের বানজেটিয়ায়, বিজেপি নেতা শাখারভ সরকারের নেতৃত্বে হয় রামমন্দিরের শিলাপুজো। মঙ্গলবার, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। মন্দির সংক্রান্ত বিষয়ে পরামর্শ নেন।
মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত 'বাবরি' মসজিদের সবে শিলান্যাস হয়েছে। নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি। আর তাতেই এই জায়গাটার চেহারা বদলে গেছে। ভিড় একেবারে গমগম করছে। সর্বক্ষণ লোকেদের আসা-যাওয়া। সেই সঙ্গে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের দু'পাশে এখন দোকান খোলার হিড়িক।
মসজিদের কাঠামো এখনও হয়নি, তার আগেই জাতীয় সড়কের ধারে ধারে প্রস্তাবিত জায়গার আশেপাশে অস্থায়ী দোকান বসতে শুরু করেছে। বিভিন্ন জায়গায় বিক্রেতারা দোকান দিচ্ছেন। কোথাও ঝোপ-জঙ্গল সাফ করা হচ্ছে। কোথাও বসে গেছে টিউবওয়েল। এরই মধ্যে জায়গা চিহ্নিত করে খুঁটি পুঁতে আয়ত্তে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন। পে লোডার দিয়ে জায়গা পরিষ্কার। খুঁটি পুঁতে দোকান তৈরির কাজ।
ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক বলেন, 'আর ৩ বছর। প্রজেক্টটা অনেক বড় হবে। মসজিদের পাশাপাশি একটা বড় হাসপাতাল হবে। তার সঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হবে। তার সঙ্গে একটা হোটেল কাম রেস্তোরাঁ হবে। পার্ক হবে। হেলিপ্যাড হবে।'
বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পর থেকেই ট্রাঙ্কে এবং বস্তায় আসছে কোটি কোটি টাকা অনুদান। লাগাতার চলছে টাকা গোনার কাজ। শুধু অবশ্য টাকাই নয়, ইট, সিমেন্ট- যে যা পারছেন তাই দিয়ে যাচ্ছেন প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য।
জানান হয়েছে, এই নির্মাণ সামগ্রী ৬ তারিখ থেকে টানা আসছে। এর মধ্যে ইট রয়েছে, সিমেন্ট রয়েছে, বালি রয়েছে। মসজিদের প্রস্তাবিত জায়গার ধারে জমা রাখা হয়েছে ৫০০-৫৫০ বস্তা সিমেন্ট দিয়েছে। আপাতত সবই গুদামে রাখা হচ্ছে। স্থানীয়দের বক্তব্য সকলে চাইছে অবদান থাকুক এই মসজিদ নির্মাণে।
শনিবার, একদিকে যখন রেজিনগরে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করেন। তার কিছুক্ষণের মধ্যে, প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে, বহরমপুরের বানজেটিয়ায়, বিজেপি নেতা শাখারভ সরকারের নেতৃত্বে হয় রামমন্দিরের শিলাপুজো। মঙ্গলবার, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি। এদিকে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ (বেলডাঙা) প্রধান কার্তিক মহারাজ বলেন, 'ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ করতে চান আপত্তির জায়গা নেই। আনন্দের কথা। মানুষ সাহায্য করবে। ফুল জল দেওয়ার লোক নেই। সেটা হওয়া কাম্য নয়। তাহলে বিগ্রহ হয়ে যায় গলগ্রহ। সেটাই পরে হয়ে যায় নিগ্রহ। সেটা যাতে না হয়।'
সব মিলিয়ে, মন্দির-মসজিদের টক্করে মুর্শিদাবাদের রাজনীতি এখন সরগরম।






















