Humayun Kabir : '...লড়তে চাইলে দরজা খোলা'...আইএসএফকে পাশে চান হুমায়ুন? কী বলছেন নওশাদ?
তবে কি নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফের সঙ্গে জোট করতে চাইছেন হুমায়ুন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আরও বৃহত্তর লড়াইয়ের পথে হাঁটতে চাইছেন?

মুর্শিদাবাদ: ২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণা করতে চলেছেন তিনি। সাসপেন্ড হওয়ার পরই, কাউকে তোয়াক্কা না করেই ঘোষণা করে দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। হুঙ্কার ছেড়েছেন, পরের ভোটে তাঁর দলের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। হুমায়ুনের ঘোষণা ছিল, বিজেপি দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়ব। তৃণমূলের তোলাবাজি করা নেতাদের বিরুদ্ধেও লড়ব। আম জনতা ফয়সালা দেবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেছিলেন, আমার দলের সমর্থন ছাড়া কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না। নতুন দলের আত্মপ্রকাশের আগেই নিজেকে কিং মেকার বলে দাবি করেছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। এবার তাঁর কথায় অন্য দলের কাছে সমর্থন প্রত্যাশার সুর। বলছেন, তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চাইলে যে কোনও দলের জন্যই তাঁর দলের দরজা খোলা।
তবে কি নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফের সঙ্গে জোট করতে চাইছেন হুমায়ুন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আরও বৃহত্তর লড়াইয়ের পথে হাঁটতে চাইছেন? নাকি তিনি পুরো মুসলমান সমাজকে তাঁর পাশে চাইছেন? হুমায়ুন খুলে রাখলেন সব সম্ভাবনার দরজাই। বললেন, বাম-কংগ্রেস হোক বা আইএসএফ, যারাই তৃণমূলকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়, যারা বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চায় না, তাদের সকলেই সঙ্গে আসতে পারেন। হুমায়ুন আরও একবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আগামী বিধানসভা ভোটে তিনি ১৩৫টি আসনে প্রার্থী দেবেন। তিনি প্রত্যয়ী, লড়ে ৭০ থেকে ৯০টি আসনে জয়ের বিষয়ে। ফের একবার দাবি করলেন, আগামী ভোটে তিনি নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে তাঁর নতুন দল।
এদিকে হুমায়ুনের বার্তায় নৌশাদ সিদ্দিকির সতর্ক উত্তর, কেউ দল করতেই পারেন। নির্বাচন কমিশনের খাতায় ২ হাজারেরও বেশি নথিবদ্ধ রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু তারা কী ভাবনা সামনে রেখে এগোচ্ছে, কী কাজ করতে চায়, কী অ্যাজেন্ডা, সেটা আগে দেখে নেবেন তাঁরা। এছাড়া তিনি সতর্কও করে দিলেন, নানা দল হওয়ার কারণে ভোট ভাগ হয়ে তৃণমূল বা বিজেপি যেন লাভবান না হয়ে যায়।
এর আগেও হুমায়ুন কবীর আসাদউদ্দিন ওয়েসির MIM-এর জোট করবে বলে ঘোষণা করেন। দাবি করেন, সময় পেলেই হায়দরাবাদে যাবেন। MIM-এর পাশাপাশি হুমায়ুন কবীর জোট করার জন্য আমন্ত্রণ জানান ISF, এমনকী বাম-কংগ্রেসকেও। তবে লক্ষ একটাই, হুমায়ুনের কথায় 'একমাত্র লক্ষ্য বিজেপিকে বাংলায় ক্ষমতায় আসতে না দেওয়া আর RSS মার্কা মুখ্যমন্ত্রীকেও ক্ষমতাচ্যুত করা।'






















