I.N.D.I.A Alliance: 'খুনি TMC-র সঙ্গে জোট নয়', I.N.D.I.A জোটের বৈঠকের দিনেই কুলপিতে হুঙ্কার কংগ্রেসের
Congress On Kulpi Murder: কুলপিতে কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় ধৃতরা সবাই জামিনে মুক্ত হওয়ায় প্রশ্ন, বিচার চায় পরিবার । খুনি তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট নয়, কুলপি গিয়ে হুঙ্কার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের (Mallikarjun Kharge) নাম প্রস্তাব করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিকে এমনই এক পরিস্থিতিতে দিল্লিতে যখন জোটের বৈঠক, ঠিক তখনই বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে কংগ্রেস (Congress)। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) আগে কুলপিতে কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় (Congress Leader Murder Case) বিচার চায় পরিবার। কী দাবি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ?
'খুনি তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট নয়..'
মূলত ৬ জুলাই কুলপিতে খুন হয়েছিলেন কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলফাজউদ্দিন হালদার। নির্দল প্রার্থীর হয়ে প্রচারের সময় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। 'খুনি তৃণমূলের সঙ্গে কোনও জোট নয়', কুলপি গিয়ে হুঙ্কার প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের। নিহতের দাদার সঙ্গে রাজনৈতিক বিবাদের জেরে খুন, দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, ধৃতরা সবাই জামিনে মুক্ত হওয়ায় প্রশ্ন
ভোটের ( Panchayat Poll ) একদিন আগে প্রাণ গিয়েছিল কংগ্রেস নেতার ( Congress )। তৃণমূলের বিরুদ্ধে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। সেই মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। দক্ষিণ গাজিপুর পঞ্চায়েতে নির্দল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারের সময় আলফাজউদ্দিনের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে এই মুহূর্তে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ, ধৃতরা সবাই জামিনে মুক্ত হওয়ায় প্রশ্ন। তৃণমূলের হাতেই আক্রান্ত কংগ্রেস, জোটের সম্ভাবনা খারিজ প্রদেশ নেতৃত্বের।
আরও পড়ুন, ডুমুরজলায় বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই অন্তত ৯০টি ঝুপড়ি !
ঠিক কী হয়েছিল সেই সময় ? তখন কী দাবি জানিয়েছিল শাসকদল ?
গাজিপুর পঞ্চায়েতের দৌলতপুরের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন আলফাজউদ্দিন হালদার। স্থানীয় সূত্রে খবর এসেছিল, গাজি পঞ্চায়েতের ৮৯ নম্বর বুথের নির্দল প্রার্থী গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হয়ে প্রচার করছিলেন। তখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বচসা থেকে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, বাঁশ, রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল আলফাজউদ্দিনকে। সঙ্কটজনক অবস্থায় কুলপি, ডায়মন্ডহারবার থেকে একবালপুরের নার্সিংহোম ও শেষে ভর্তি করা হয়েছিল পার্ক সার্কাসের নার্সিংহোমে। সেখানেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এরপরেই ৪ তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। যদিও 'এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই' বলে দাবি করেছিল সেসময় তৃণমূল।