JU Student Death Mystery: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, ঘটনাস্থলে এবার গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক টিম
JU Student Death Mystery Update: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা, এবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গেল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক টিম।

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা। কেন যাদবপুর ক্যাম্পাসের সব জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় নেই? পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী থাকলে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে, উঠছে প্রশ্ন। পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী নেই, স্বীকারোক্তি খোদ সহ-উপাচার্যের। মেয়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায়, যাদবপুর থানায় যান ছাত্রীর মা-বাবা। আধঘণ্টা পর মৃতার বাবাকে নিয়ে কেপিসি হাসপাতালে যান পুলিশ আধিকারিকেরা। এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায়, এবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গেল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক টিম।
আবার একটা মৃত্যু! অকালে নষ্ট হল আরও একটা সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। কীভাবে মৃত্যু হল অনামিকা মণ্ডলের? কার গাফিলতিতে? গোটা ঘটনায় তৈরি হচ্ছে একাধিক মিসিং লিঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে, সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে মৃত অনামিকার পরিবার। মৃত পড়ুয়ার দাদু অজয় সরকার বলেন, এটা কি যাদবপুর প্রতিষ্ঠান কি একটু সক্রিয় হলে কি এগুলো বন্ধ করতে পারে না? ক্যাম্পাসের মধ্যে হচ্ছে তো।
'গাফিলতিটা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের..'
গাফিলতিটা কার? প্রশ্নের উত্তরে মৃত পড়ুয়ার দাদু বলেন, গাফিলতিটা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের। নিরাপত্তাটা কোথায়? একটা অনুষ্ঠানের মধ্যে নজর রাখা উচিত। যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেট থেকে দু'পা হাঁটলেই বাঁ দিকে পিজি আর্টস বিল্ডিং এবং ডান দিকে আর্টস ফ্যাকাল্টির ইউনিয়ন রুম। তার ঠিক পাশেই ঝিলপাড়। মাঝখানে চলে গেছে ছোট্ট এই গলি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর,বৃহস্পতিবার, এই পিজি আর্টস বিল্ডিং সংলগ্ন পার্কিং লটেই চলছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রামা ক্লাবের তরফে একটি অনুষ্ঠান। নাম 'রুহানিয়ত',অনামিকা মণ্ডলও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
'ইউনিয়ম রুম সংলগ্ন ঝিল থেকেই উদ্ধার হয় অনামিকার অচৈতন্য দেহ..'
রাত দশটা নাগাদ, ইউনিয়ম রুম সংলগ্ন ঝিল থেকেই উদ্ধার হয় অনামিকার অচৈতন্য দেহ, আর এই আবহেই হাতে এসেছে একটি চিঠি। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এই অনুমতিপত্রে দেখা যাচ্ছে, মোট ৩ দিনের জন্য, পার্কিং লটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুমতিও চাওয়া হয় এই চিঠিতে। রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠানের অনুমতি থাকলে, তারপরও ক্যাম্পাসে কী করছিলেন পড়ুয়ারা? অত রাতে ঝিলের কাছে গেলেনই বা কেন অনামিকা? এখানেই প্রশ্ন উঠছে।























