Jalpaiguri Lynching: গরু চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ের অভিযোগ, মৃত্যু যুবকের
Lynching: তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ, থানা ঘেরাও গ্রামবাসীদের। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধস্তাধস্তি।
জলপাইগুড়ি: গরু চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ের (Lynching) অভিযোগ, মৃত্যু যুবকের। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জে (Rajganj) গরু চোর (Cow Smuggler) সন্দেহে মারধরের অভিযোগ। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু রাজগঞ্জ থানার (Rajganj Police Station)। তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ, থানা ঘেরাও গ্রামবাসীদের। পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধস্তাধস্তি।
গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বাংলাদেশ সীমান্ত (Indo-Pak Border) লাগোয়া ১৯৫ ব্যাটালিয়নের চাউলহাটি সংলগ্ন বড়ুয়াপাড়া গ্রামে গতকাল গভীর রাতে একদল যুবক আসে। ২টি গরু বের করার পরই গ্রামবাসীরা টের পেয়ে যাওয়ায় চা বাগানে দলটি লুকিয়ে পড়ে। আজ সকালে পালানোর সময় গ্রামবাসীরা তাড়া করে একজনকে ধরে ফেলে। অভিযোগ, পিটিয়ে খুন করা হয় এক যুবককে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের বিশাল বাহিনী।
সীমান্তে গরু চুরির চেষ্টার অভিযোগ: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জে (Rajganj) ভারত-বাংলাদেশ (Indo-Pak Border) সীমান্তে গরু চুরির চেষ্টার অভিযোগ। এক অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল এলাকায়।
অভিযুক্তকে গণপিটুনির ঘটনায় তিনজনকে আটক করার প্রতিবাদে রাজগঞ্জ থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। যা ঘিরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল ধস্তাধস্তি হল। ঘটনার সূত্রপাত, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বড়ুয়াপাড়া গ্রামে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুধবার ভোরে এলাকায় গরু চুরি করতে ঢোকে ৪ জনের একটি দল।
একটি বাড়ি থেকে ২টি গরু চুরি করে, সীমান্ত লাগোয়া চা বাগানে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখে অভিযুক্তরা। স্থানীয়দের চিত্কারে ৩ অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও, একজনকে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, এরপর ধৃত অভিযুক্তকে মারধর শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মারধরের চোটে তাঁর মৃত্যু হয়।
বাসিন্দার বয়ান: রাজগঞ্জ বড়ুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দার কথায়, চোর যখন ধরা পড়ে, তখন দেখা যায়, BSF-এর সামনেই বর্ডার ক্রস করে পালিয়ে যাচ্ছে। যাঁকে ধরা হয়েছিল, ৫টা গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে পিটিয়ে মারে। BSF-এর সামনেই চলে গেল, কিছু বলল না। ওদের কাজ আমাদের করতে হচ্ছে। ওরা গুলিও চালায় না। তা হলে এটা ঘটত না।
তিনজন গ্রামবাসীকে আটক: পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এদিকে ধৃত অভিযুক্তকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় তিনজন গ্রামবাসীকে আটক করে পুলিশ। যার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শেষে বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।