Jalpaiguri News: ময়নাগুড়িতে বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, গ্রেফতার এক
আবার সেই ময়নাগুড়ি। ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর, সোমবার সকালে হার মানতে হয়েছে নির্যাতিতা নাবালিকাকে। সেই ময়নাগুড়িতেই বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, ময়নাগুড়ি: জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে এবার বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। প্রতিবেশীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। OC-র সঙ্গে দেখা করতে গেলে, থানায় পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন বিজেপির (BJP) মহিলা মোর্চার সদস্যরা। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ: আবার সেই ময়নাগুড়ি। ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর, সোমবার সকালে হার মানতে হয়েছে নির্যাতিতা নাবালিকাকে। আর সেদিন সন্ধাতেই, সেই ময়নাগুড়িতেই বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর দাবি, সন্ধেবেলা হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় বিশেষভাবে সক্ষম ওই নাবালিকা। খোজাখুঁজির পর, প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ি থেকেই হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁকে। অভিযুক্ত মঙ্গলা দাসকে মারধর করেন স্থানীয়রা। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার প্রতিবেশী প্রদীপ দে বলেন, “মা প্রথমে খুঁজে পাচ্ছিল না, খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। পাশের বাড়ির একটি মেয়ে বলে একজন কাকুর সঙ্গে দেখতে পায়। তারপর অভিযুক্তর ব্যক্তির বাড়িতে আমরা যাই, দরজায় ধাক্কা দিই, তারপর দরজা খুলতেই দেখি বিছানার উপর হাত-পা অবস্থায় মশারির ভিতরে মেয়েটি শুয়ে আছে। ব্যক্তিও ছিল একসঙ্গে।”
নদিয়ার হাঁসখালিকাণ্ডের পর, এবার ময়নাগুড়ির ঘটনাকে ঘিরেও শুরু হয়ে গেছে রাজনীতি। রাতেই থানায় যায় জেলা বিজেপির মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিরা। কিন্তু, OC-র সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। এমনকী, সেই সময় থানায় নির্যাতিতার মা থাকলেও, তাঁর সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিজেপির সদস্যরা।
জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় বলেন, “কাল মহিলা নেতৃত্ব গিয়েছিল, পুলিশ কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, পুলিশ তাদের কথা শোনেনি, বের করে দেওয়া হয়। এগুলিই প্রমাণ করে, শাসন ব্যবস্থা নেই। পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। দুষ্কৃতীদের ছাড় দিচ্ছে প্রশাসন। ধর্ষণতন্ত্র-খুনতন্ত্র-কাটমানিতন্ত্র চলছে।” সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পীযূষ মিশ্র বলেন, “এটা খুব মর্মান্তিক ঘটনা, এমন এক প্রশাসনকে বসিয়েছে, যে প্রশাসন প্রতিদিন এই ঘটনাকে বাড়তে দিচ্ছে। প্রশাসনের চেয়ারে সমাজবিরোধীরা বসে আছে।”সোমবার রাতে যখন বিজেপির প্রতিনিধি দল থানায় গিয়েছিল, তখন থানায় ছিলেন পুলিশ সুপারও। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, আপাতত হোমে রাখা হয়েছে নির্যাতিতা নাবালিকাকে।
আরও পড়ুন: Siliguri News: সাহায্যের আড়ালে প্রতারণা! পর্দাফাঁস করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট