Jalpaiguri: বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গনে প্রশিক্ষণ শুরু না হলে মউ ছেড়ে বেরিয়ে আসবে রাজ্য, সাই-কে হুঁশিয়ারি ক্রীড়ামন্ত্রীর
উন্নতমানের প্রশিক্ষণের জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মউ সই করে এই ক্রীড়াঙ্গন তুলে দেওয়া হয়ছিল সাই-এর হাতে। ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ, এতবড় পরিকাঠামো পেয়েও তা কোনওভাবেই কাজে লাগায়নি সাই।
সমিত সেনগুপ্ত ও রাজা চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা ও জলপাইগুড়ি: বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে এবার কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুললেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (সাই) হাতে তুলে দেওয়া ক্রীড়াঙ্গন অবহেলায় আগাছার স্তূপে পরিণত হয়েছে, অভিযোগ ক্রীড়ামন্ত্রীর। অবিলম্বে প্রশিক্ষণ শুরু না হলে মউ ছেড়ে বেরিয়ে আসার হুঁশিয়ারি ক্রীড়ামন্ত্রীর। পাল্টা সাই সূত্রে দাবি, ক্রীড়াঙ্গন এখন কোভিড হাসপাতাল।
ফুটবল থেকে তিরন্দাজি, অ্যাথলেটিক্স থেকে বাস্কেটবল, বিশাল ক্রীড়াঙ্গনে থাকবে সমস্ত ধরনের খেলার সুযোগ, উন্নত প্রশিক্ষণ পেয়ে তৈরি হবে দক্ষ ক্রীড়াবিদ। এমনই আশায় জলপাইগুড়িতে তৈরি হয়েছিল বিশ্ব বাংলা ক্রীড়াঙ্গন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের এই প্রজেক্ট এখন আগাছায় ভরা। ফুটবল মাঠের গোলপোস্টে বড় বড় ঘাস।
কেন্দ্রের অধীনস্থ সাই-এর হাতে তুলে দেওয়া এই প্রকল্পের দুরবস্থা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর দাবি, উন্নত মানের প্রশিক্ষণের জন্য ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে মউ সই করে এই ক্রীড়াঙ্গন তুলে দেওয়া হয়ছিল সাই-এর হাতে। ক্রীড়ামন্ত্রীর অভিযোগ, এত বড় পরিকাঠামো পেয়েও তা কোনওভাবেই কাজে লাগায়নি সাই।
অরূপ বিশ্বাস বলেছেন, ‘এই পুরো প্রজেক্টের মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। শুধু জমির দামই ৩০০-৩৫০ কোটি টাকা। এখন গরু চড়ছে। ২০১৮ আর ২০২০-তে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। কিরেন রিজিজু উত্তর দিয়েছিলেন বিষয়টা দেখবেন বলে। তারপরেও কিছুই হয়নি।’
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্য়ের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাঁর হুঁশিয়ারি, তিন মাসের মধ্যে সাই কাজ না শুরু করলে মউ ভেঙে বেরিয়ে আসবে রাজ্য সরকার।
তবে সাই সূত্রে দাবি, গত দেড় বছর ধরে স্টেডিয়ামে চলছে কোভিড হাসপাতাল। রাজ্য সরকারের হাতেই রয়েছে এর দায়িত্ব। ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণের পরিবেশ এখন নেই সেখানে।
ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত নয়, রাজ্যের ক্রীড়াপ্রেমীরা চান পরিকাঠামোর সঠিক ব্যবহার। যাতে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে বাংলা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারেন ক্রীড়াবিদরা।