Jhalda Bypoll : ঝালদায় কাকার মৃত্যুর তদন্তে এগিয়ে আসা তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুনকেই প্রার্থী করল কংগ্রেস
Jhalda By-poll Congress Candidate : ১৩ মার্চ তপন কান্দু খুন হন।এপ্রিলে ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যু ঘটে।২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের প্রার্থী তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দু।
ঝালদা : কাকার মৃত্যুর তদন্তে বারবারই এগিয়ে এসে ছিলেন মিঠুন কান্দু। এবার তাঁকেই প্রার্থী করল কংগ্রেস। ২৬ জুন পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে উপনির্বাচন। সেই ভোটে মিঠুনকে সামনে রেখে জনগণের দিকে 'হাত' বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। তপনের ভাইপো-ও কাকার অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করবেন বলেই আশ্বাস দিচ্ছেন মানুষকে।
ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন কান্দুর মৃত্যু বাংলায় ঝড় তুলেছিল। পুরভোটের পরেই গুলিতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে মারা গিয়েছিলেন তপন কান্দু। এবার তাই ঝালদা পুরসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তপন কান্দুর পরিবারকেই গুরুত্ব দিল কংগ্রেস। বেছে নিল তাঁর ভাইপোকে। জেলা কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, সর্বসম্মতিক্রমেই ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসাবে তপনের ভাইপো মিঠুন কান্দুর নাম প্রস্তাব করা হয়। কংগ্রেসের প্রতীকে তিনি লড়বেন।
কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন
১৩ মার্চ, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে খুন করা হয়। সেই ঘটনায়, এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও ভাইপো দীপক কান্দু। পুরভোটে কাকা তপন কান্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ভাইপো দীপক। শেষ অবধি কংগ্রেস প্রার্থী কাকার কাছে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী ভাইপো। আপাতত, জেলা হেফাজতে রয়েছেন তিনি। পুরুলিয়া সংশোধনাগারে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ দীপককে জেরা করেছে CBI’র গোয়েন্দারা। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলরের স্ত্রীর দাবি, দীপককে জেরা করেছে, বড় মাথা আছে, তারা ধরা পড়বে।
তপন খুনের তদন্ত
চলতি মাসের শুরুতেই কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে অভিযুক্ত দীপক কান্দুকে জেলে গিয়ে প্রথমবার জেরা করেন CBI’র গোয়েন্দারা। অন্যদিকে, অভিযোগকারী ও ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গড়াইয়ের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় পুরুলিয়া আদালতে। সিবিআই সূত্রে খবর, দীপক কান্দুকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, আগামীদিনে বাকি অভিযুক্তদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এছাড়াও পুরুলিয়া আদালতে গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগকারী সুভাষ গড়াইয়ের।
কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যু
তপন কান্দুর মৃত্য হয় ১৩ মার্চ। এরপর ৬ এপ্রিল ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যমৃত্যু ঘটে। বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নিরঞ্জন বৈষ্ণব নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মৃতদেহ। সুইসাইড নোটে পুলিশের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ লেখা ছিল। দেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। এই ঘটনাতেও সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় মৃতের পরিবার। পরিবারের দাবি, তপন কান্দুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন নিরঞ্জন। খুনের দিন কংগ্রেস কাউন্সিলরের সঙ্গে হাঁটতেও বের হন। অভিযোগ, তপন কান্দু খুন হওয়ার পর পুলিশ নিরঞ্জনকে বারবার ডেকে পাঠিয়ে নির্যাতন শুরু হয় । ফলে আতঙ্কে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি।