Kasba News: 'দলে পুনর্বহাল পেলে, মনোজিতরা কি তাঁর চোখে বদলে যেত ?', রাজন্যাকে পাল্টা আক্রমণ অতীন-কন্যার
Kasba Incident Atin Daughter Attacks Rajonya: কেন এতদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কিংবা দলকে জানাননি ? রাজন্যাকেই কাঠগড়ায় তুলে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন অতীন-কন্যা, দিলেন কড়া প্রতিক্রিয়া ..

কলকাতা: কসবাকাণ্ডের পর এবিপি আনন্দে মুখ খোলেন একদা টিএমসিপি নেত্রী রাজন্যা হালদার। টিএমসিপি-র ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাজন্যা বলে, 'আমার AI করা অশ্লীল ছবি, দাদারা জুনিয়রদের মোবাইলে মোবাইলে পাচার করেছে..', । তাঁর মন্তব্যের পরেই 'আগে তো জানাননি', রাজন্যার ছবি বিকৃতির অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায় ফিরহাদ-কন্যাকেও। এবার রাজন্যা হালদারকে পাল্টা আক্রমণ অতীন-কন্যার। এদিন এবিপি আনন্দ-কে এনিয়ে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিলেন প্রিয়দর্শিনী ঘোষ।
এদিন প্রিয়দর্শিনী বলেন, অপরাধ যে করে, এবং এই অপরাধকে যে সহ্য করে বা অপরাধ নিয়ে নিশ্চুপ থাকে, আমার চোখে তাঁরা উভয়ই সমানভাবে দোষী। রাজন্যার AI manipulated কিছু ভিডিও যদি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, এবং সেই মুহূর্তে সে এটা নিয়ে প্রতিবাদ না করে, শীর্ষ নের্তৃত্বকে না জানায়, দলকে না জানায়, প্রশাসনকে না জানায়, তারমানে রাজন্যা পরোক্ষভাবে এটা সাপোর্ট করছে ? পরোক্ষভাবে এইকাজে বৈধতা দিচ্ছে ? এটা তো হতে পারে না। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, রাজন্যার সাসপেনশন উঠে গেছে, কসবা কাণ্ডও হয়নি, ২১ জুলাই আবার সুযোগ পাচ্ছে বক্তব্য রাখার। তাহলে কি , তিনি যেটা বলেছেন, আজ তৃণমূল কংগ্রেসে অনেক মনোজিৎ মিশ্ররা ভর্তি আছে। তাহলে এই মনোজিৎ মিশ্ররা কি ওভার নাইট চেঞ্জ হয়ে যেত, তাঁর চোখে ? তার জীবন সঙ্গী প্রান্তিক, আমার ধারণা প্রায় ১৫ বছর, ছাত্র রাজনীতি করেছেন, সে যখন দেখছেন, তার জীবনসঙ্গীর ছবি এরকমভাবে ম্যানিপুলেটেড করেছে, সে কেন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি ? ধরে নিলাম এসব কাণ্ড যদি না হত, আবারও যদি প্রান্তিক-রাজন্যকে reinstate করে দেওয়া হত, তাহলে এই মনোজিৎ মিশ্ররা কি তাঁদের কাছে সলমন খান হয়ে যেত ? হত না তো।
এর পর অতীন কন্যা আরও একটি কানেকটেড প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বিজয়া করতে আমরা প্রত্যেকেই যাই, দিদির বাড়ির সামনে এবছর আমিও গিয়েছিলাম। দিদি বেরিয়ে আমাদের প্রণাম নেন। সেখানে আমি প্রান্তিক-রাজন্যাকেও দেখতে পেয়েছি। আফটার সাসপেনশন। অতয়েব একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে একটা জায়গা পাওয়া। তার পরবর্তী, তার যে জনপ্রিয়তা, নিশ্চিতভাবে তাঁৎ শীর্ষ নের্তৃত্বের সঙ্গে কোথাও না কোথাও যোগাযোগ করবার প্রবণতা ছিল। যেটা অনেকের কাছে থাকে না। একটা মেয়ের লজ্জা লাগতেই পারে, ওই সময়ে দাঁড়িয়েও, সে তো অন্তত দিদিকে ডেকে বলতে পারতেন, যে দিদি আমার লজ্জা করছে, আমি কাউকে বলতে পারছি না, আমাদেরই দলের, ছাত্রদের মধ্যে এই জিনিসটা আমার সঙ্গে করা হচ্ছে।'























