Kolkata Crime News: কলকাতায় খুন, ঔরঙ্গাবাদ থেকে গ্রেফতার ১
Kolkata Police: হরিদেবপুরে বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে খুনের ঘটনায় ঔরঙ্গাবাদ থেকে গ্রেফতার ১। ধৃতের নাম কুন্দন কুমার। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের।
হিন্দোল দে ও পার্থপ্রতিম ঘোষ কলকাতা: হরিদেবপুরে বেসরকারি সংস্থার কর্মীকে খুনের ঘটনায় ঔরঙ্গাবাদ থেকে গ্রেফতার ১। ধৃতের নাম কুন্দন কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, বাপ্পা ভট্টাচার্যকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল সে। খুনের নেপথ্যে টাকা পয়সা সংক্রান্তের বিবাদ থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত রয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
মঙ্গলবার শৌচালয় থেকে বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ (Dead body) উদ্ধার হয়েছিল। হরিদেবপুরে (Haridevpur) নিজের বাড়িতেই বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীকে (Private Organization Employee) খুনের অভিযোগ উঠেছিল। বাড়িতে একাই থাকতেন ওই ব্যক্তি। গোটা বিষয়টিতে তদন্তে নেমেছিল লালবাজারের (Lalbazar) হোমিসাইড শাখা। পাশাপাশি সায়েন্টিফিক উইং (Scientific Wing) ও ফরেন্সিক দলও (Forensic Team) তদন্ত শুরু করেছিল। মৃতদেহ যখন উদ্ধার করা হয়, তখন দেহে পচন ধরতে শুরু করেছিল বলে পুলিশ (Police) জানিয়েছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ ছিল, ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃতদেহের মাথা ও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ৪ থেকে ৫ জন জড়িত ঘটনায়। তারাই ঘটনার দিন আসে বাড়িতে। খাটের উপর খুন করে দেহ সরানো হয় শৌচালয়ে। খুনের মোটিভ কী, সেটা ধরেই খোঁজ শুরু করেছিলেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হয়েছে মৃতের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দোতলায় একাই থাকতেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী বাপ্পা ভট্টাচার্য। বাড়ির নীচের তলা বন্ধ থাকত। তাঁর স্ত্রী কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালোরে থাকেন। মেয়ে বিয়ের পর থাকেন উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে। মৃতের স্ত্রীর দাবি, রবিবার তাঁর সঙ্গে স্বামীর শেষবার কথা হয়। তারপর থেকে বাপ্পা ভট্টাচার্যের মোবাইল ফোন ছিল বন্ধ। বিপদের আশঙ্কা করে তাঁরা প্রতিবেশীদের খোঁজ নিতে বলেন।
সেদিন এক প্রতিবেশী গিয়ে দেখেছিলেন, দোতলার ঘরের দরজা খোলা। শৌচালয়ে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মৃতদেহ। প্রতিবেশীদের থেকে খবর পেয়ে মঙ্গলবার যখন পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে, ততক্ষণে দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। মৃতের মেয়ের দাবি, ঘটনার দিন কয়েকজন সহকর্মীর আসার কথা ছিল। বুধবার ঘটনাস্থলে ডিসিডিডি স্পেশাল দেবস্মিতা দাসের নেতৃত্বে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা আসেন। আসে কলকাতা পুলিশের সায়েন্টিফিক উইং বিভাগও। থ্রিডি লেজার ইমেজিং পদ্ধতিতে তদন্ত চালানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিভাগও। তারপর বৃহস্পতিবারই খুনে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশের জালে পাকড়াও এক।