Duttabad News: দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার কোচবিহারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি
Gold Businessman Murder Case: স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের দিন বিডিওর গাড়ির চালক রাজু ঢালি মোবাইলে ভিডিও তুলেছিলেন, আদালতে দাবি সরকারপক্ষের আইনজীবীর। সেই ফোন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।

ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, দত্তাবাদ : স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে গ্রেফতার কোচবিহারের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সজল সরকার। তাঁর ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মারধরের দিন বিডিওর গাড়ির চালক রাজু ঢালি মোবাইলে ভিডিও তুলেছিলেন, আদালতে দাবি সরকারপক্ষের আইনজীবীর। সেই ফোন ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আর সেই ফোনের ফুটেজেই কোচবিহারের তৃণমূল নেতার ছবি দেখা গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল নেতার মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনেও দেখাচ্ছে নিউটাউন, আদালতে দাবি সরকারপক্ষের আইনজীবীর। গতকাল সন্ধেয় শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় সজল সরকারকে। স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে সরাসরি যোগ রয়েছে সজলের, দাবি পুলিশের। আগে গ্রেফতার হওয়া ২ জন, রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের কলকাতার গাড়ির চালক রাজু ঢালি এবং বিডিও ঘনিষ্ঠ উত্তরবঙ্গের ঠিকাদার তুফান থাপাকে জেরা করে মিলেছিল সজল সরকারের নাম। ধৃত সজলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল খুনে নাম জড়ানো রাজগঞ্জের BDO প্রশান্ত বর্মণের, খবর সূত্রের।
স্বপন কামিল্যা নামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুরের বাসিন্দা ছিলেন। দত্তবাদে বাড়ি ভাড়া নিয়ে সোনার ব্যবসা করতেন। এই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকেই পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে। দোকান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় ব্যবসায়ীকে। তার জেরেই মৃত্যু বলে অনুমান। এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। যদিও তাঁর দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। একটি নীল বাতি লাগানো গাড়ি করে দেহ নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। দত্তাবাদের সোনার দোকান থেকে তুলে আনার পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে বেল্ট, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। একজন বাঁশ জাতীয় কিছু দিয়ে মাথায় পিছনে আঘাত করলে, সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী এবং মারা যান। এরপর, নীলবাতি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয় ব্যবসায়ীর দেহ। ফেলা হয় যাত্রাগাছিতে খালের ধারে। নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটের দোতলায় এই গোটা কাণ্ড ঘটে। সেই ফ্ল্যাট চিহ্নিত করে ইতিমধ্যেই সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক দল।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এক ব্যক্তি ওই বিডিও- র বাড়ি থেকে সোনা চুরি করেছিলেন। যিনি চুরি করেছিলেন তিনি নিজেই জানান সেই কথা। এরপর ওই ব্যক্তি চোরাই সোনা দেন স্বপন কামিল্যা নামের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এক ব্যক্তি ওই বিডিও- র বাড়ি থেকে সোনা চুরি করেছিলেন। যিনি চুরি করেছিলেন তিনি নিজেই জানান সেই কথা। এরপর ওই ব্যক্তি চোরাই সোনা দেন স্বপন কামিল্যা নামের স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে।






















