Kunal Ghosh: 'কেষ্টকাকুই আমার মুখ্যমন্ত্রী', অনুব্রত-অনুপমের ফেলে আসা দিনের কথায় কুণাল ঘোষ
Kunal Ghosh attacks Anupam Hazra: অনুব্রত-র হাজার হাজার কোটির খতিয়ান শুনিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। এবার তোপ দাগলেন কুণাল।
কলকাতাঃ সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এখনও মাথার ঘুরছে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা। কোটি কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেপ্ত করে নিয়েছে সিবিআই। এমনই এক সময় অনুব্রত-র হাজার হাজার কোটির খতিয়ান শুনিয়েছেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। অথচ শোনা যায় শাসকদলের মুখে এই অনুপম নাকি একসময়ে অনুব্রত-র কাছে গিয়েছিলেন। আর সেই মর্মস্থলেই এদিন অনুব্রত-র সঙ্গে অনুপমের ফেলে আসা দিনের কথা মনে করালেন তৃণমূলের হেভিওয়েট কুণাল ঘোষ। অনুপমের কথা তুলে বললেন, একসময় সেই নাকি বলেছিলেন 'কেষ্টকাকুই আমার মুখ্যমন্ত্রী'।
সম্প্রতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,'অনুপম হাজরা একটা সময় অনুব্রত মণ্ডলের ছায়াসঙ্গী ছিলেন।জ্যাঠামশাইয়ের থেকে আর্শীবাদ নিয়ে আসি বলে, গিয়েছিলেন। সুতরাং উনি কিছুটা হলেও জানতে পারেন। এবং যে নামের তালিকা বলছেন, সেখানে প্রথমেই কি অনুপমবাবুর নাম থাকবে ? একটুখানিক বললে ভালো হয়। এবং এখনকার সময়, অনুপমবাবু না ঘরের না ঘাটের। এই রাজ্যের না কেন্দ্রের। উনি কোন জায়গায় কীভাবে অবস্থান করছেন , আমরা জানি না। এই টুইট এবং নানা মন্তব্যের মধ্য দিয়েই সংবাদ মাধ্যমে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন।এবং তিনি বিজেপিতে যোগদানের পরেও অনুপম হাজরার এই মন্তব্যের কোনও গুরুত্ব আছে বলে, আমার মনে হয় না', বলে জানান জয়প্রকাশ মজুমদার।
প্রসঙ্গত, অনুব্রতকে নিয়ে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা এদিন বলেন, '৩-৪ হাজার কোটি টাকার মালিক অনুব্রত। কাঁধে করে গরু নিয়ে পাচার করতেন অনুব্রত, তৃণমূলে সব লোকজন বলত, এমনটাই শুনতাম, বলে জানালেন বিজেপি নেতা। পাশাপাশি 'একটা সময় ২০১৯ লোকসভার সময় আপনি হঠাৎ করে তৃণমূলের কার্যালয়ে চলেগিয়েছিলেন, বলেছিলেন আপনার কাকু হয়। এটা ব্যক্তি সম্পর্ক , রাজনৈতিক সম্পর্ক পুরো আলাদা। কাকু সিবিআই হেফাজতে, এখন কীভাবে দেখছেন', সাংবাদিকদের প্রশ্নে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন অনুপম।
আরও পড়ুন,'লকেট দিদিমণিরও সম্পত্তি বহুগুণ বেড়েছে', পর্দাফাঁস করলেন শান্তনু সেন
অনুব্রত-র গ্রেফতার ইস্যুতে তিনি বলেন, 'যদি সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি, দিনের শেষে আমরা মানুষ। উনি গ্রেফতার হয়েছেন। আস্তে আস্তে আরও অনেক জিনিস খুলবে। আরও রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে। ততটাই কামাও, যতোটা ভোগ করতে পারবে। উনি এতটাই কামিয়ে ফেলেছেন, মানে আমাদের কাছে এখনও যা কাগজ পত্র জমা পড়েছে, তাতে করে উনি ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মালিক। এটা একটা রোগ। একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা লাগে ! উনি যা উপর্জন করেছেন , এরপরের ১০টা জেনারেশন বসে খাবে। যখন আমি তৃণমূলে ছিলাম, তখন আমি শুনতাম, বলতেন , আমার এক ঘর টাকা হবে।'