Mahua Moitra: 'দল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না', হাঁসখালিতে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে প্রতিক্রিয়া মহুয়ার
Mahua Moitra Hanskhali: ঘটনার কথা শুনে সাংসদের প্রতিক্রিয়া, দল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না। সেই কারণে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: হাঁসখালিতে (Hanskhali) নির্যাতিতার বাড়িতে গেলেন তৃণমূল সাংসদ (TMC MP) মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। এদিন কথা বললেন পরিবারের সঙ্গে। ঘটনার কথা শুনে সাংসদের প্রতিক্রিয়া, দল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না। সেই কারণে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত।
কী বলেছেন মহুয়া?
তৃণমূল সাংসদ বলেন, "এটা উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ নয়। যে ঘটনা ঘটেছে তাঁকে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। এর মধ্যে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। পুলিশ তদন্ত করছে। দল কোনওভাবেই এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।"
জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে মাদক খাইয়ে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করল হাঁসখালি থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, মূল অভিযুক্তর বন্ধু সে। মূল অভিযুক্ত জেরায় তার নাম জানায় বলে দাবি পুলিশের। গতকাল গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত।
এদিকে, হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে, তৃণমূল নেতার ছেলের গ্রেফতারি ঘিরে তরজা তুঙ্গে। এই প্রেক্ষাপটেই সোমবার হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে পাল্টা সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন, বারাবনিতে সংবাদ মাধ্যমকে আটকাল পুলিশ, 'মমতার নির্দেশেই বাধা', অভিযোগ অগ্নিমিত্রার
নদিয়ার হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে শিউড়ে উঠেছে রাজ্যবাসী। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর সেই দিনই হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা শুনে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা।
কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "একটা ছোট ঘটনা ঘটেছে... আপনি রেপ বলবেন, না কি প্রেগনেন্ট বলবেন, নাকি লভ অ্যাফেয়ার বলবেন...না কি শরীরটা খারাপ ছিল, না কি কেউ চড় মেরেছে... মেয়েটির লভ অ্যাফেয়ার্স ছিল। বাড়ির লোকেরা সেটা জানত। প্রতিবেশীরাও সেটা জানত। এখন যদি কোনও ছেলেমেয়ে প্রেম করে,, সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়।
নদিয়ায় ১৪ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত দাবি করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দু’টো ঘটনাই, নারী নির্যাতনের উদ্বেগজনক ছবি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনমন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।