Malda: তৃণমূল কর্মী খুনে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ! চাঁচলে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ; অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে ভাঙচুরের চেষ্টা
TMC Worker Murdered : গত মাসের ২৯ তারিখে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হন সইদুর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী
করুণাময় সিংহ, চাঁচল (মালদা) : মালদার (Malda) চাঁচলের জালালপুরে তৃণমূল কর্মী খুনের (TMC Worker Murdered) ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় এক সপ্তাহ। এখনও অধরা মূল অভিযুক্তরা। এই অভিযোগে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পে ঢুকে ভাঙচুরের চেষ্টা চালাল উত্তেজিত জনতা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখানো হয়। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে এদিন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। যার জেরে উত্তেজনা ছড়ায়।
গত মাসের ২৯ তারিখে জমি নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হন সইদুর রহমান নামে এক তৃণমূল কর্মী। খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস নেতা এমদাদুল হক সহ কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাঁকে গ্রেফতারের দাবিতেই এদিন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা।
দিনের আলোয়, সবার চোখের সামনে খুন । ঘরে ঢুকে পরপর গুলি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় যুবকের। গত মঙ্গলবার সকালে হাড়হিম করা ঘটনার সাক্ষী থাকেন মালদার চাঁচলের জালালপুরের বাসিন্দারা। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৩২ বছরের সইদুর রহমানের। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, এক বিঘা জমি নিয়ে ৩-৪ বছর ধরে স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এমদাদুল হকের পরিবারের সঙ্গে বিবাদ চলছে। মামলা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।
অভিযোগ, মঙ্গলবার সকালে দলবল নিয়ে জমি দখল করতে যান কংগ্রেস নেতা। বাধা দেওয়ায়, সইদুরের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মাথায় ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সইদুরের। দেহ তুলতে বাধা দিয়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়দের একাংশ। উত্তেজিত জনতা লাঠি হাতে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ আটকে দেয়।
জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এবার তৃণমূলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। ২৮টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১৬ এবং তৃণমূল কংগ্রেস ১২টি আসন পেয়েছে। বোর্ড গড়েছে কংগ্রেস-ই। জমি-বিবাদে যুবক খুনে কংগ্রেসকেই দায়ী করেছে তৃণমূল।
ঘাসফুল শিবিরের জেলা সভাপতি আবদুল রহিম বক্সী বলেছিলেন, 'পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই কংগ্রেস সন্ত্রাস করছে। ভোটে জিতে প্রধান হয়েছে। লাগাতার অত্যাচার হচ্ছে। আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে দিয়ে চৌরঙ্গি স্ট্যান্ডে তৃণমূল কর্মীরা উঠতে পারছে না।'
যদিও মালদা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় আগে বলেন, 'জমির দখলকে কেন্দ্র করে অ-রাজনৈতিক ঘটনাকে রাজনীতির রং, প্ররোচনা দিয়ে প্রতিহিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করছে।'