Mamata Banerjee: কুলতলির ঘটনায় দোষীর প্রাণদণ্ড, ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন...
Kultali Incident: টিউশন পড়তে গিয়ে, আর বাড়ি ফেরেনি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। রাতে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানখেতের আল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়
কলকাতা : কুলতলিতে ৯ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় দোষীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে বারুইপুর পকসো আদালত। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে 'অপরাজিতা বিল'কে আইনে পরিণত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
গত ৪ অক্টোবর দুপুরে টিউশন পড়তে গিয়ে, আর বাড়ি ফেরেনি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। রাতে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে ধানখেতের আল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। নাবালিকার পরিবার প্রথম থেকেই ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তোলে। এই ঘটনায় গতকালই মুস্তাকিন সর্দারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল বারুইপুর POCSO আদালত। এদিন তাকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করে আদালত। ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হল।
এরপরই এদিন ফেসবুক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখলেন, "আমাদের সমাজে ধর্ষকদের কোনো স্থান নেই। আপনি যদি অন্য ব্যক্তির শরীর, মর্যাদা এবং তাঁর জীবনের মৌলিক অধিকারকে সম্মান না করতে পারেন, তবে একজন মানুষ হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে আপনি ব্যর্থ। আমি পুলিশের কাছে এই তদন্তের প্রতি দায়বদ্ধ থাকার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ, যা অসাধারণ দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ২৫ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হয়, যা তাঁদের নিরলস পরিশ্রমের প্রমাণ । একইভাবে ২৩ দিনের স্বল্প সময়ের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করার জন্য আমি বিচার বিভাগকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।" তাঁর সংযোজন, যদিও সর্বোচ্চ ন্যায়বিচারও কখনোই ভুক্তভোগীর পরিবারের অপূরণীয় যন্ত্রণা এবং ক্ষতির পরিপূরক হয়ে উঠতে পারে না। তাঁদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, তাঁদের দুঃখের আমরা সকলেই ভাগীদার। আমিও তাঁদের কষ্টে, বেদনায় মর্মাহত। আমাদের হৃদয় তাঁদের জন্য সমব্যথী।"
তিনি আরও লেখেন, "আমি এটি আগেও বলেছি এবং আমি আবারও বলব: প্রত্যেক ধর্ষক কঠোরতম শাস্তি-মৃত্যুদণ্ড যোগ্য। সামাজিক জীব হিসেবে, এই জঘন্য সামাজিক ব্যাধি দূর করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে দ্রুত, সময়সীমাবদ্ধ বিচার এবং শাস্তি- একটি শক্তিশালী প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে এবং একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠাবে যে এই ধরনের অপরাধ সহ্য করা হবে না। এই কারণে আমি, অপরাজিতা বিলকে আইনে পরিণত করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি যাতে, আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করতে পারি।"