DA Protests: ‘আপনি বাংলার লজ্জা’, বর্ধিত DA নিয়ে অসন্তোষ, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
WB Budget 2023: বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের বাজেট পেশ করেন অর্থবিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই ডিএ-র হার বৃদ্ধির ঘোষণা করেন তিনি।
কলকাতা: মহার্ঘ ভাতা নিয়ে বুধবারের মধ্যে পদক্ষেপ না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশ। সেই নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই রাজ্যের বাজেটে সরকারি কর্মীদের DA আরও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার (WB Budget 2023)। কিন্তু তার পরও সন্তুষ্ট নন আন্দোলনরত রাজ্য সরকারের কর্মীদের একাংশ। তাঁরা জানিয়েছেন, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন (DA Protests)।
বুধবার বিধানসভায় রাজ্যের বাজেট পেশ করেন অর্থবিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই ডিএ-র হার বৃদ্ধির ঘোষণা করেন তিনি। কিন্তু চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ভিক্ষা চাইতে আসেননি তাঁরা। ৩ শতাংশ DA বাড়ানো মানছেন না তাঁরা। বাজেট ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া চাইলে রাজ্য সরকারকে ধিক্কার জানান সরকারি কর্মীদের একাংশ।
এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, "আন্দোলন যেমন চলছে, তেমনই চলবে। এর তীব্রতা আরও বাড়বে। প্রতিবাদে কর্মবিরতি ডাকব। ৩৯ শতাংশকে ৩ শতাংশ দিয়ে ঢেকে দেওয়ার প্রচেষ্টা। এটা মানছি না আমরা। প্রতিবাদ চলবে। উনি যেটা ভেবেছেন, সেই পরিস্থিতি নেই আর। সরকারের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। আনপ্ল্যান্ড খাতে কত বরাদ্দ হয়েছে দেখেছেন! টাকা দিতেই হবে। আন্দোলন চালিয়ে যাব আমরা"
আন্দোলনকারীদের মধ্যে অন্য এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, "এতদিন বলছিলেন, মামলা চলছে, তাই দেওয়া যাবে না। এখন কী হল! কী ঘরে ঘোষণা করলেন! হাস্যকর কাজকর্ম করে আর ছোট করবেন না রাজ্যবাসীকে। আপনি বাঙালি জাতির লজ্জা।"
পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের DA-র ফারাক ছিল ৩৪ শতাংশ। ষষ্ঠ বেতন কমিশন অনুযায়ী সেই ব্যবধান বেড়ে হয়েছে ৩৫ শতাংশ। শোনা যাচ্ছে,আগামী দিনে আরও ৪ শতাংশ DA বাড়াতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারষ সে ক্ষেত্রে ব্যবধান বেড়ে হবে ৩৯ শতাংশ।
অন্য দিকে, বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে ২০ দিনে পড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান। এ দিন ধর্নামঞ্চে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরও এক অনশনকারী। আন্দোলনকারী সুজাতা সাহাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এই মুহূর্তে শহিদ মিনারে তিন জন অনশন করছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।