Mamata on Hanskhali : "আইসির গাফিলতিতে এই ঘটনা", হাঁসখালিকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর
Mamata on Hanskhali : জেলা পুলিশ আধিকারিকদের সামনে হাঁসখালিকাণ্ড নিয়ে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী
কলকাতা : হাঁসখালিকাণ্ডে জোরদার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই। এবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রীই। "হাঁসখালিতে ঘটনাটা ঘটল কী করে ?" রানাঘাটের এসপি-কে প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর।
জেলা পুলিশ আধিকারিকদের সামনে এনিয়ে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "পুলিশের গাফিলতির জন্য সরকার কেন ভুগবে ? সরকার তো চায় যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তোমাদের তিন-চারদিন লেগে গেল কী করে ? আইসির গাফিলতির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। কেন ঠিক সময়ে অ্যাকশন নেয়নি। তোমরা খবর রাখো না কত ডেডবডি যাচ্ছে ? স্বাভাবিক মৃত্যু বা অস্বাভাবিক মৃত্যু কজনের হচ্ছে ? কোথায় কার মৃত্যু হচ্ছে, কীভাবে মারা যাচ্ছে, দেখা হয়নি কেন? ধানতলায় তথ্য বিকৃতি করেছে বিজেপি । আমরা হাথরাস বা উন্নাও করতে দেব না।"
এর পাশাপাশি তিনি হাঁসখালির ঘটনায় একাধিক বয়ানের কথা বলেন। তাঁর বক্তব্য, একেক সময় একরকম বয়ান দেওয়া হচ্ছে। হাঁসখালিতে পুলিশের কাছে এক বয়ান, সিবিআইয়ের কাছে আরেক বয়ান। শিশু কমিশনের রিপোর্টও পেয়েছি। তারা বলছে, তিন চার রকমের স্টেটমেন্ট পেয়েছি। এই কেসগুলো সিরিয়াসলি লোকাল লেভেলে দেখে নিতে বলো। তাহলে আইসি থাকার দরকার কী ।
আরও পড়ুন ; ‘ঘটনাটা দুর্ভাগ্যজনক, কিন্তু ছেলেটার সঙ্গে অ্যাফেয়ার ছিল’, হাঁসখালিকাণ্ডে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর
হাঁসখালিকাণ্ডে কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ?
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাঁসখালিকাণ্ডে বলেছিলেন, "ঘটনাটি দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল কিনা, দেখতে হবে। শুনেছি দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।" পাশাপাশি ঘটনায় রাজ্যের শাসক দল জড়িয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তোপ দেগে তৃণমূল সুপ্রিমোর সংযোজন ছিল, "তৃণমূলকে টানার কী দরকার? সবাই তো তৃণমূল। ছেলেটার বাবা তৃণমূল করে তো কি হয়েছে, রং না দেখে গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনাটা খারাপ, কিন্তু গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু প্রথমেই কেন থানায় রিপোর্ট করা হয়নি? না জানিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল কেন ? শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনকে মামলাটি দেখতে বলব, তদন্তের পরে কেসটা কি ছিল, সেটা আমরা জানাব।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সরব হন বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা।