Suvendu On Mukul Roy:'এদের বিরুদ্ধেও আদালতে যাব আমরা..', মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের পর কাদেরকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর ?
Suvendu Adhikari On Mukul Roy: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজে কী প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর ? এরপর কাদের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার ?

কলকাতা: দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তও খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক, এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজে শুভেন্দু বললেন, 'সংবিধানের জয়' ! এরপর কাদের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার ?
কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন তিনি। এবিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, সংবিধানের জয় হয়েছে। ..আমি অত্যন্ত খুশি, লম্বা লড়াই লড়েছি। চার বছর ধরে লড়েছি। এই ১৫ বছর প্রায় হতে যাচ্ছে, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নের্তৃত্বে সংবিধানকে ভায়োলেটেড করা হয়েছিল। এবং এর আগে সিপিএম -কংগ্রেস ওরা এফেকটেড হয়েছে। কিন্তু ওরা লড়তে পারেনি। একুশের পর থেকে বিজেপি টার্গেট ছিল। বিজেপির একটার পর একটা বিধায়ককে নানাভাবে, প্রলোভন দেখিয়ে, কাউকে অর্থের বিনিময়ে, কাউকে পুলিশ দিয়ে মিথ্যে মামলা করে, নিয়ে গিয়েছিল। আজকে এটা দরকার ছিল যে, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা শেষ কথা বলেন না। ভারতবর্ষের সংবিধান শেষ কথা বলে। এটা সংবিধানের জয় হয়েছে। আমি খুশি। এবার পালা, আলিপুরদুয়ারের সুমন কাঞ্জিলাল, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, হলদিয়ার তাপসী মণ্ডলের। আমরা এই জাজমেন্টের পরেই এদের বিরুদ্ধে আমরা, আদালতে যাব। কারণ আমরা ইতিমধ্য়েই স্পিকারের কাছে দিয়েছি, উনি করেননি।আমরা যা করার করছি। আমরা প্রত্যেক কেসে, যাব। উনি সংবিধান মানেননি। আজকে সংবিধানের জয় হয়েছে।'
২০২১ সালে মুকুল রায় বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে জেতার পর....কিন্তু এর কিছুদিন বাদেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলের সদর দফতরে পৌঁছন!এরপর তাঁকে বিধানসভার পাবলিক অ্য়াকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্য়ান করা হয়। কিন্তু, এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন শুভেনদু অধিকারী। দলত্য়াগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান তাঁরা। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, যে মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন। এই বিতর্কের জল গড়ায় হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শেষমেশ বৃহস্পতিবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক, এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চ, বিধানসভার অধ্যক্ষের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিল। সেইসঙ্গে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদও খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভারতীয় সংবিধানের ২১২ নম্বর ধারায়, তাতে আমাদের একটা প্রোটেকশন রয়েছে। বিধানসভার অধ্যক্ষের যে সমস্ত কার্যকলাপ রয়েছে, তার উপরে সাধারণত হস্তক্ষেপ করা যায় না। কীভাবে উনি হস্তক্ষেপ করলেন, আমি রায় না দেখে কিছু বলতে পারব না।'























