Murshidabad Crime: স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী, ঘটনার কারণ জানতে তদন্তে পুলিশ
Murshidabad Murder Case: টোটোতেই স্ত্রীর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে স্বামী।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অনির্বাণ বাগচি, মুর্শিদাবাদ : স্ত্রীকে খুন (Murder Case) করে আত্মঘাতী স্বামী। ভগবানগোলার দিঘা গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। গতকাল সন্ধ্যায় জিয়াগঞ্জ স্টেশন থেকে ভগবানগোলা থানার সুবর্ণমৃগী গ্রামের বাড়ি ফিরছিল টোটোয় করে স্ত্রী আয়েসা বিবি ও তার স্বামী জার্জেস শেখ। সেই সময় টোটোতেই স্ত্রীর গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে স্বামী। এবং পরে একটি মাঠে গিয়ে গলায় দড়ি দেয় সে (Suicide Case)। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অক্টোবারের দ্বিতীয় সপ্তাহে, দাম্পত্য অশান্তির জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ । মৃতের নাম কাশ্মীরা খাতুন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরখানেক আগে সোনারপুরের মকগ্রামপুরের বাসিন্দা আরবান লস্করের সঙ্গে বিয়ে হয় বারুইপুরের কাশ্মীরা খাতুনের। বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক কারণে অশান্তি শুরু হয়। তার জেরেই কাশ্মীরাকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, বান্ধবীর বাড়ির দোতলার ঘরে খুন হন অয়ন। অথচ ফরেন্সিক পরীক্ষায় এক ফোঁটা রক্তের নমুনা মেলেনি। খুনের পর শুধু দেহ লোপাট নয়, মুছে ফেলা হয় রক্তের দাগ। পুলিশ সূত্রে খবর, দশমীর রাতে অয়ন যখন বান্ধবীর বাড়িতে যান, তখন বাড়িতে একাই ছিলেন বান্ধবীর মা। তাঁর সঙ্গে অয়নের হাতাহাতি হয়। এরপরেই বাড়িতে আসেন অয়নের বান্ধবী, তাঁর বাবা, ভাই ও বন্ধুরা। এরপরই অয়নকে মারধর করা হয় বলে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন, আন্দোলনকারীদের সাক্ষাৎ সুকান্তর, 'বিপথে চালিত করার চেষ্টা', বললেন শান্তনু
খুনের পর অয়নের দেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে বান্ধবীর বাবা। পুলিশের দাবি, ‘দুই বন্ধুকে ডেকে পাশের নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে ত্রিপল দিয়ে মোড়া হয় দেহ। তারপর মিনিডোরে করে হরিদেবপুর থেকে মগরাহাটে নিয়ে যাওয়া হয় মৃতদেহ। মৃতদেহ লোপাটের আগে অয়নের মোবাইল সুইচড অফ করে ফেলা হয় জলাশয়ে। বিষ্ণুপুরের নেপালগঞ্জে জলাশয়ে ফেলা হয় অয়নের মোবাইল ফোন। ওড়িশায় আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দেয় নিহতের বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু। অপরদিকে, নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে যুবকের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। অভিযোগ, সেই আক্রোশ থেকেই যুবককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপালেন কিশোরীর মা-বাবা! যুবকের মৃতদেহ রাস্তার উপর থেকে উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা অভিযুক্তরা। মারধরে জখম হয়েই মৃত্যু ? একাধিক প্রশ্ন নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ।






















