Nadia: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস, ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশকর্মী
দীর্ঘদিন ধরে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করার অভিযোগে এক পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করল গোপালনগর থানার পুলিশ।
সমীরণ পাল, গোপালনগর: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক নার্সিং ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সহবাসের পর বিয়ে করতে অস্বীকার করার অভিযোগে এক পুলিশকর্মীকে গ্রেফতার করল গোপালনগর থানার পুলিশ। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে ছাত্রী। এরপরই তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর নাম উত্তম সরকার। তাঁর বাড়ি নদিয়া জেলার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রামে। বর্তমানে তিনি আসানসোল রাজ্য পুলিশের ৭ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ঠিক কী অভিযোগ?
বছরখানেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে উত্তম সরকারের সঙ্গে আলাপ হয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোপালনগর থানা এলাকার বাসিন্দা নার্সিং-এর এক ছাত্রীর। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের একটি সম্পর্কও তৈরি হয়। এরপর সম্পর্ক এগোতে থাকলে ওই পুলিশ কর্মী যুবতীকে বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
অভিযোগকারিণী জানান, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে উত্তম তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন। বর্তমানে তিনি অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি উত্তমকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেই বেঁকে বসেন ওই পুলিশকর্মী। রীতিমতো সম্পর্কও অস্বীকার করেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ। অগত্যা উপায় না পেয়ে গত ২২ মার্চ উত্তমের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী।
ঘটনার তদন্তে নেমে গোপালনগর থানার পুলিশ সোমবার রাতে নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী উত্তম সরকারকে গ্রেফতার করে। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়, এমনটাই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
এদিকে, একুশ শতকে এক বর্বরতার সাক্ষী ডায়মন্ড হারবার থানা। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকার সন্দেহে এক গৃহবধূকে ন্যাড়া করে কালি মাখিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, চৌষা গ্রামের ওই গৃহবধূ প্রতিবেশী এক যুবকরে সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সোমবার ওই গৃহবধূকে তাঁর প্রেমিক বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় বলেও দাবি। এরপরেই উত্তেজিত গ্রামবাসীরা গৃহবধূকে ধরে তাঁর মাথা ন্যাড়া করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।