North 24 Pargana News : বাংলায় খুন করে জম্মুতে 'ফেরিওয়ালা'! ফিল্মি কায়দায় কীভাবে পাকড়াও কাটামুণ্ডু কাণ্ডের কিংপিন
বাংলাদেশের দুষ্কৃতী, পশ্চিমবঙ্গে একের পর এক অপরাধ। জম্মুর সাম্বা থেকে গ্রেফতার হল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কাটা মুণ্ডু-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জোয়ের শেখ ওরফে জলিল।

সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : চেজ করে দুষ্কৃতীকে ধরা। সিনেমার স্ক্রিপ্টকেও হার মানায়। অপরাধের ধরন থেকে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পালানো, ভেক ধরা, যেন চলচ্চিত্রের দৃশ্য। অবশেষে বিরাট সাফল্য পুলিশের। বাংলাদেশের দুষ্কৃতী , পশ্চিমবঙ্গে অপরাধ ঘটিয়ে, গা -ঢাকা দিয়েছিল জম্মুতে। সেখান থেকেই অবশেষে পুলিশের জালে আটকা পড়ল দত্তপুকুরের কাটা মুণ্ডু-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জলিল !
ভিনরাজ্যে পালিয়ে, ছদ্মবেশে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা কাজে এল না। জম্মুর সাম্বা থেকে গ্রেফতার হল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের কাটা মুণ্ডু-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জোয়ের শেখ ওরফে জলিল। ২ ফেব্রুয়ারি খুন হয় গাইঘাটার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হজরত লস্কর। ৫ ফেব্রুয়ারি দত্তপুকুরের বাজিতপুরে চাষের জমিতে মেলে তার মুণ্ডহীন, আধপোড়া, বিবস্ত্র দেহ। সেই ঘটনায় জম্মু থেকে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারি এড়াতে খুনের পরের দিন কলকাতা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরে জম্মু চলে যায় জোয়ের শেখ ওরফে জলিল। পুলিশের চোখে ধোঁকা দিতে ভাঙাচোরা জিনিস কেনাবেচা করছিল। জলিলের সন্ধান পেতে জম্মু পাড়ি দেয় বারাসাত পুলিশ জেলার বিশেষ তদন্তকারী দল। বুধবার ছদ্মবেশে থাকা জলিলের খোঁজ মেলে। রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় তাড়া করে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর , প্রথমে কলকাতা থেকে জম্মুতে পালিয়ে গেলেও, ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বারবার জায়গা পাল্টেছে জলিল। পুলিশের ভয়ে হরিয়ানাতেও চলে যায়। সেখান থেকে সাম্বায় এসে ফেরিওয়ালার ভেক ধরে। তাতেও এড়ানো যায়নি গ্রেফতারি। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত জলিল বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা। কাটা মুন্ডু-কাণ্ডে আরও ২ জনের খোঁজ চলছে। তারা বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা।
কী কারণে খুন গাইঘাটার দুষ্কৃতী হজরত লস্কর? পুলিশ সূত্রে খবর, হজরত, তার মাসতুতো ভাই ওবায়দুল্লা গাজি, জলিল-সহ দুষ্কৃতীদের দলটি চুরি-ছিনতাই করে বেড়াত। পরে উত্তরপাড়ার এক পুলিশ আধিকারিকের সোর্স হিসেবে কাজ শুরু করেছিল হজরত। তার জন্যই ধরা পড়েছিল তার মাসতুতো ভাই ওবায়দুল্লা। ধরা পড়ার আশঙ্কা ছিল জলিলেরও। সেই কারণে ওবায়দুল্লা ছাড়া পেতেই, সবাই মিলে হজরতকে খুনের ছক কষে।
এর আগে ওবায়দুল্লা গাজি ও তার স্ত্রী পূজা দাস ওরফে নিশাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় জলিলের স্ত্রী সুপ্রিয়া বিবিকেও। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর সূত্র ধরেই জম্মুর সাম্বায় জলিলের খোঁজ মেলে। অপরাধ করে সে আগেও জম্মুতে পালিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ চারজন গ্রেফতার হলেও, এখনও কাটা মাথার হদিশ মেলেনি।






















