North Bengal Floods: শিলিগুড়ি সংলগ্ন ডাকগ্রামে বৃষ্টির সঙ্গে বানের ডুয়েল অ্যাটাক, বানারহাটে জলের তলায় রেললাইন
North Bengal Flash Floods: শিলিগুড়ি সংলগ্ন ১ নম্বর ডাকগ্রামে পোড়াঝার গ্রামে আজ ভোরেই হড়পা বান আসে। বাঁধ ভেঙে ২০০ টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জলপাইগুড়ি: সপ্তাহ দু'য়েক আগে চার ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভেসেছিল কলকাতাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা। এবার একেবারে যেন একই ছবি পড়ল উত্তরবঙ্গে। সম্ভাবনা, সতর্কতা ছিলই, সেই অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিতে ব্যাহত জনজীবন। আবার বৃষ্টির সঙ্গে দোসর হয়ে এসেছে বান।
শিলিগুড়ি সংলগ্ন ১ নম্বর ডাকগ্রামে পোড়াঝার গ্রামে আজ ভোরেই হড়পা বান (North Bengal Flash Floods) আসে। বাঁধ ভেঙে ২০০ টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরছাড়া বহু মানুষ। ঘরছাড়ারা স্থানীয় স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শিলিগুড়ির মেয়রও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাজির হন। স্থানীয়দের হাতে তিনি কিছু ত্রাণসামগ্রীও তুলে দেন। বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে খুলে দেওয়া হয়েছে মহানন্দা নদীর লকগেট। স্থানীয়ের দাবি, 'রাতে হঠাৎ করেই এখানে হড়পা বান চলে আসে। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে লোকজন বাঁধ ভাঙছে দেখেও কিছু করা যায়নি। লোকজন প্রাণ বাঁচাবে না বাঁধ বাঁচাবে? প্রাণ বাঁচাতে গিয়েই বাঁধটা আর বাঁচানো যায়নি।'
এই বৃষ্টি ও বানের ডুয়েল আক্রমণে সাধারণ মানুষের নাজেহাল পরিস্থিতি। জলপাইগুড়ির বানারহাটে তো পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে রাস্তা খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। চারিদিকে জল থই থই। খালি চোখে রাস্তাঘাটের সঙ্গে নদীর পার্থক্য বোঝাই দায়। বানারহাটের রেল ট্র্যাকে জমে জল, বাতিল ডুয়ার্সগামী উত্তর-পূর্ব রেলের একাধিক ট্রেন। বদল করা হয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক ট্রেনের রুট। বাতিল ট্রেনের তালিকায় রয়েছে ১৫৭৭৭ নিউ জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ার ট্যুরিস্ট স্পেশাল ট্রেন। রুট পরিবর্তন করা হয়েছে শিয়ালদা-আলিপুরদুয়ার এক্সপ্রেস, আলিপুরদুয়ার-দিল্লি রুটের মহানন্দা এক্সপ্রেসের।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিনা খাতুন জানান, 'ভোর চারটে থেকে ভাসছে ঘরবাড়ি। জিনিসপত্র সব জলমগ্ন। সকলেই তো আসে, দেখে যায়, কিন্তু চলে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আর শুধরানোর জন্য কিছু বদল হয় না, কেউ খবরও নেয় না।' ছবিটা কোচবিহারের ক্ষেত্রেও একইরকম। শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জমে এক হাঁটু জল। তোর্সা, মানসাই নদীতে বেড়েছে জলস্তর। এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন বা পুরসভার থেকে কোনওরম সাহায্য এসে পৌঁছয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'সকাল থেকে ঘরের এই অবস্থা, না রান্না করতে পারছি, না খেতে পারছি, না পারছি বাজার যেতে। সাহায্য, ত্রাণ কিছুই দেয়নি, এমনভাবে কী ভাবে চলবে? প্রশাসনের তরফে কেউ খোঁজ করতেও আসেনি।' কোচবিহার শুধু এই ওয়ার্ড নয়, একাধিক ওয়ার্ডের ছবি একইরকম।





















