Sukanta Mazumdar: কয়লা ও গরু পাচারে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতারাও জড়িত, দাবি সুকান্ত মজুমদারের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, যারা তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে তারা আর অভিষেক এক নয়, রক্ত দেব কিন্তু মাথানত করব না।
রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: কয়লা ও গরু পাচারে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতারাও জড়িত। পুলিশ-প্রশাসনের একাংশের মদতে চলছে এই কারবার। সিবিআই তদন্ত হলেই দৌড়োদৌড়ি শুরু হবে, দাবি করলেন সুকান্ত মজুমদার। তারা এজেন্সির ভয় পায় না, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ল তৃণমূল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, যারা তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে তারা আর অভিষেক এক নয়, রক্ত দেব কিন্তু মাথানত করব না।
কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে সোমবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিতর্ক। এই আবহে রবিবার জলপাইগুড়িতে কয়লা ও গরু পাচার নিয়ে হুঁশিয়ারির সুর শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারের গলায়। রাজ্য বিজেপির সভাপতির দাবি, উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতা ও এখানকার পুলিশ-প্রশাসনের একাংশও কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত।
এই অভিযোগ তুলেই সিবিআই তদন্ত নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন , উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে কয়লা এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে পার হচ্ছে, পাচারে তৃণমূল নেতৃত্ব জড়িত, অনেক পুলিশ অফিসার পয়সার ভাগ পাচ্ছে, তাদের বাধ্য করা হচ্ছে তৃণমূলের ঘরে টাকা ঢোকাতে, আগামীদিনে সিবিআইয়ের হাতে তাঁরা পড়বেন, সিবিআই তদন্ত হলে পুলিশ অফিসাররা দৌড়োদৌড়ি করবেন>>
শুধু কয়লা নয়, গরু পাচার নিয়েও সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি দাবি করেছেন, এই ইস্যুতে, জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে দরবার করবেন।
সুকান্তর CBI তদন্তের হুঁশিয়ারি। চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, উনি আদতে বিষয়টি জানেন না, বিএসএফ গরু ছেড়েছে, আর পুলিশ তা উদ্ধার করেছে, বিএসএফের একাংশ গরু পাচারে যুক্ত, পুলিশ নয়, সিবিআই হলে বিএসএফের একটা অংশ জেলে যাবে, হুমকিতে ভয় পাই না আমরা, কয়লার বিষয়টিও কেন্দ্রের, তারাই দেখুক। সব মিলিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম পরিস্থিতি।