Asansol Shootout: গাড়িতে উঠতেই ঘিরে ধরে গুলি! প্রাণে বাঁচলেন ব্যবসায়ী
Paschim Bardhaman News:প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালাল কারা? কেন এভাবে ব্যবসায়ীকে টার্গেট করা হল? সেই উত্তর খুঁজতেই তদন্তে নেমেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।
কৌশিক গাঁতাইত, আসানসোল: প্রকাশ্যে শ্যুটআউট আসানসোলে (Asansol Firing)। টার্গেট এক ব্যবসায়ী। খাবারের দোকান থেকে খাবার কিনে বাইরে বেরোতেই চলল গুলি। আসানসোলে এমন গুলিচালনার ঘটনায় আতঙ্ক গোটা এলাকায়।
খাবার কিনে গাড়িতে ওঠার সময় অতর্কিতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরপর গুলি চললেও প্রাণে বেঁচেছেন ওই ব্যবসায়ী। গাড়িতে গুলি লাগলেও গুলি লাগেনি ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াইয়ের গায়ে। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ এই হাড়হিম করা শ্যুটআউট হয় আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত চন্দ্রচূড় লাগোয়া এলাকায়। ওই এলাকার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দাঁড়িয়েছিল ঠিকাদার দীনেশ গড়াইয়ের গাড়ি। রাস্তার ধারের দোকান থেকে খাবার কিনছিলেন দীনেশ গড়াই। খাবার কেনার পরে গাড়িতে উঠতেই সেই গাড়ি দুষ্কৃতীরা ঘিরে ধরে বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে পালিয়ে যান দীনেশ ও তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি চালাল কারা? কেন এভাবে ব্যবসায়ীকে টার্গেট করা হল? সেই উত্তর খুঁজতেই তদন্তে নেমেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।
গোটা ঘটনায় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন খোদ স্থানীয় তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর। আসানসোল পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অর্জুন মাঝি বলেন, 'জমি মাফিয়ারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে।' এই শ্যুটআউটের ঘটনায় তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, 'আসানসোলে দুয়ারে শ্যুটআউট কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কাউকেই ছাড়বে না এরা। তৃণমূলের কাউন্সিলররাও বলছে যে জমি মাফিয়ার দৌরাত্ম্য চলছে। প্রকাশ্যে এসে গুলি করে চলে যাচ্ছে। এরপর ব্যবসায়ীরা টাকা নিয়ে চলে যাবে।'
এবারই প্রথম না, বারবার শ্যুটআউটের খবরে শিরোনামে উঠে এসেছে আসানসোল এবং লাগোয়া কিছু এলাকা। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি, আসানসোলে হোটেলে ঢুকে মালিককে খুন করে দুষ্কৃতীরা। ভয়ঙ্কর সেই মুহূর্তের ছবি ধরা পড়েছিল হোটেলের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়। তারপরে পয়লা এপ্রিলে পশ্চিম বর্ধমানের শক্তিগড়ে খুন হয়েছিলেন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। সেই ঘটনাতেও গাড়ি ঘিরে ধরে পরপর গুলি করে খুন করা হয়েছিল রাজু ঝাকে। তার পরপরেই ২৯ এপ্রিল জামুড়িয়ায় শ্যুটআউটে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউ-এর। একটি গাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ। এরপরে সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ। ওইদিন সালানপুরের পেট্রোল পাম্পে চলেছিল গুলি। তেল ভরতে আসা দুষ্কৃতীর গুলি থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পান পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা। সিসি ক্যামেরার ধরা পড়ে ছবি।
আরও পড়ুন: 'ভিক্ষাপাত্র নিয়ে দাঁড় করিয়ে দিল মমতার সরকার', TMC-তে তুলোধনা বিকাশরঞ্জনের