Paschim Medinipur News: হরিনাম সংকীর্তনে জুয়ার ঠেক! চরমে অশান্তি, এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
Garhbeta News: বৃহস্পতিবার রাতে সাঁইনাড়া গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের আসর বসে। সেই উপলক্ষে বসে জুয়ার ঠেক। জুয়া খেলা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন হরিপদ হাজারি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।
সোমনাথ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: হরিনাম সংকীর্তনের আসরেই কিনা জুয়ার ঠেক! আর তা থেকে ব্যাপক গন্ডগোল! এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় গড়বেতায় (Garhbeta News) গ্রেফতার এক তৃণমূল (TMC) নেতা এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সহ তিন জন। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন ধৃত তৃণমূল নেতার দাদা। দলের যোগ নেই বলে দাবি তৃণমূলের। কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
গড়বেতায় পিটিয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
জুয়ার ঠেকে গণ্ডগোল। আর সেই বিবাদের জেরে এক গ্রামবাসীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা সহ গ্রেফতার তিন জন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার চন্দ্রকোনা রোড এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সাঁইনাড়া গ্রামে হরিনাম সংকীর্তনের আসর বসে। সেই উপলক্ষে বসে জুয়ার ঠেক। জুয়া খেলা নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন হরিপদ হাজারি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা অরূপ ঘোষ, সাতবাঁকুড়া ৫ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী প্রশান্ত মহাদণ্ড এবং শুকদেব সেন নামে স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্য হরিপদকে মারধর করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে গিয়েও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, ভোর রাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় হরিপদকে।
শুক্রবার সকাল থেকে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ছুটে আসে চন্দ্রকোনা রোড ফাঁড়ির বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্ত তিনজনকেই আটক করা হয়। পরিবার লিখিত অভিযোগ করার পর রাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
উত্তেজনা গোটা এলাকায়, পুলিশি টহল
জুয়ার ঠেক বসা ও মারধরের কথা স্বীকার করেছেন সাতবাঁকুড়া ৫ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান এবং ধৃত তৃণমূল নেতা অরূপ ঘোষের দাদা। যদিও এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই বলে দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বের।কিন্তু বিজেপি-র দাবি, তৃণমূল এবং পুলিশ মিলে এ সব করে। জুয়ার আসর বসিয়ে, পিটিয়ে মারা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গড়বেতা ৩ নং ব্লকের চেয়ারম্যান নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টহল দিচ্ছে পুলিশ।