Paschim Medinipur: হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি ছেলে, ছাদ থেকে ঝাঁপ দিলেন মা
হঠাৎই মধ্যরাতে খবর আসে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির মা কাজল সিং হাসপাতালের তিনতলার ছাদের জানালা দিয়ে ঝাঁপ দেন।
বিশ্বজিৎ দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: ছেলের অসুস্থতার খবর আর সহ্য করতে পারেননি মা। হাসপাতালের ছাদ থেকেই ঝাঁপ দিলেন তিনি। ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। ছেলের অসুস্থতার শোকে মায়ের এমন ঘটনায় হতবাক হয়েছে এলাকাবাসীরাও।
ঠিক কী ঘটেছে?
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মধ্যরাতে সকলের অলক্ষ্যেই এই কাণ্ডটি ঘটে। নার্স-সুরক্ষা কর্মীরা হাসপাতালে থাকলেও তাঁদের চোখে ধুলো দিয়েই হাসপাতালের ছাদে চলে যান ওই মহিলা। তিনতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
জানা গিয়েছে মৃতের নাম কাজল সিং(৫৫)। মৃতদেহটিকে পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খড়গপুর লোকাল থানার অন্তর্গত কনিকা গ্রামের বাসিন্দা মন্টু সিং নামে এক যুবক শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনদিন আগে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ ওই ব্যক্তির পাশে রবিবার রাতে তাঁর মা কাজল সিং ছিলেন। হঠাৎই মধ্যরাতে খবর আসে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তির মা কাজল সিং হাসপাতালের তিনতলার ছাদের জানালা দিয়ে ঝাঁপ দেন। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মহিলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই হাসপাতালেই ভর্তি করে চিকিৎসা করেন।
কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় রবিবার মধ্যরাতের পর থেকেই ওই মহিলার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এরপর সোমবার সকালে ওই কাজল সিংয়ের মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ডেবরা থানার পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কাজল সিং মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। আর এই মানসিক ভারসাম্যহিন থাকার কারণেই হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক অনুমান।
অন্যদিকে, রঘুনাথগঞ্জ থানার রানিনগর অঞ্চলে একই পরিবারের স্বামী ও এক শিশুর দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রের খবর, ছেলেটির অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেম প্রেমের সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা। মাস তিনেক থেকে স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী। এরপরই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলতে থাকে। পরিবারের তরফে অনুমান করা হয়েছে, স্বামীর প্রেমের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই স্ত্রী তাঁকে মেরে ফেলেন।