Kharagpur : মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ! ক্লোজ করা হল সাদাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জকে
Police Officer Closed : পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণ থানা এলাকায়
সৌমেন চক্রবর্তী, খড়গপুর : মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ (Misbehave with Lady) ও তার প্রতিবাদ করলে সন্তানদের মারধরের অভিযোগ উঠল খড়গপুরের (Kharagpur) এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ জানাতে গেলেও অসহযোগিতার মুখে পড়তে হয় বলে দাবি অভিযোগকারিণীর। অভিযুক্ত সাদাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জকে ক্লোজ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল আমলে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে তৃণমূল।
‘অভব্যতা’য় কাঠগড়ায় পুলিশ !
রক্ষকই ভক্ষক ? প্রথমে মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ ! প্রতিবাদ করায় মহিলার সন্তানদের মারধরের অভিযোগ ! এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ওঠায় তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণ থানা এলাকায়। শুধু তাই নয়, পুলিশের বিরুদ্ধেও উঠেছে অসহযোগিতার অভিযোগ। অভিযোগকারিণী, খড়গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত সাদাতপুর এলাকায় হোটেল চালান।
তাঁর দাবি, কিছুদিন আগে সাদাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শুকদেব মাইতি তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। অভিযোগ, কালীপুজোর রাতে সদলবলে হোটেলে চড়াও হন ওই পুলিশ অফিসার। বেদম মারধর করা তাঁর ছেলে-মেয়েকে।
অভিযোগকারিণীর বক্তব্য, আমার হাত ধরেছিল। তখন হোটেল থেকে বেরিয়ে যাই। সেই রাগেই হয়ত মেরেছে। অভিযোগকারিণীর আরও বিস্ফোরক দাবি, প্রথমে খড়গপুর লোকাল থানা এই অভিযোগ নিতেই অস্বীকার করে। হইহই পড়ে যেতে শুক্রবার অভিযোগ দায়ের করতে পারেন তিনি।
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সাদাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ শুকদেব মাইতিকে ক্লোজ করা হয়েছে। একাধিক ধারায় মামলাও রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার।
ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর ! তৃণমূল আমলে নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব বিজেপি। মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। কেউ সাহস পায় না। দোষীর শাস্তি পাওয়া উচিত। কিন্তু কেউ এটা করতে পারবে বলে মনে হয় না।
অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যুৎ ঘোষ বলেন, আমাদের রাজ্যে আইন আইনের পথেই আছে। তার প্রমাণ আইসিকে ক্লোজ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, আইন রক্ষার, সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে, তাঁদের বিরুদ্ধেই যদি এমন অভিযোগ ওঠে, তা হলে সাধারণ মানুষ যাবেন কোথায় ?
আরও পড়ুন ; বিদ্যুৎ ঝলকের মতো এক বিপর্যয়ে শেষ সব! বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের