SSC News: কাকভোরে আটক, ৮ ঘণ্টা পর মুক্তি, ছাড়া পেয়ে কী বললেন আন্দোলনকারী শিক্ষক সুমন বিশ্বাস?
SCC Case: কাকভোরে আদিসপ্তগ্রাম থেকে আটক করা হয় সুমন বিশ্বাসকে। তারপর দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মগরাহাট থানার পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দেয়।

SSC News: আজকের এসএসসি ভবন অভিযানের অন্যতম আহ্বায়ক ছিলেন চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। সাতসকালে তাঁর বাড়িতেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। কাকভোরে আদিসপ্তগ্রাম থেকে আটক করা হয় সুমন বিশ্বাসকে। তারপর দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ছাড়া পাওয়ার পর সুমন বিশ্বাস সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
এদিন সুমন বিশ্বাস বলেন, 'আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও সকলের। বিরোধী দলনেতাও সকলের। মুখ্যমন্ত্রী তো আর আমাদের রইলেন না। নাহলে এভাবে একজন যোগ্য শিক্ষককে কেউ অপহরণ করতে পারে? তাঁর পুলিশ, পুলিশমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী দলনেতাকে ধন্যবাদ জানাই। আপনি দেখুন। আমাদের একটু বাঁচান। আমাদের বাঁচান। এটুকুই বক্তব্য। এই বিষয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল, তৃণমূল কংগ্রেস এলেও সমর্থন করব। দেখুন যে মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সকলের মুখ্যমন্ত্রী, তিনি পুলিশমন্ত্রী, তাঁর পুলিশ অপহরণ করছে।'
সোমবার চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁদের তরফে এই ঘোষণা হওয়ার পরই পুলিশের তরফে অভিযোগ করা হয় যে এই অভিযানের মাধ্যমে পুলিশকে আক্রমণের ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। অভিযোগ, চক্রান্ত করা হচ্ছে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর জন্য। বিস্ফোরক অভিযোগের পর অডিও ক্লিপও প্রকাশ করে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই গ্রেফতার করা হয় মালদার শিক্ষক রেজাউল হককে। তবে তাঁকে আদালতে পেশ করার পর আদালতের প্রশ্নবাণে কার্যত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে পুলিশকে। জামিন পেয়েছেন রেজাউল। এরপরই সাতসকালে আটক করা সুমন বিশ্বাসকেও ছেড়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, আজ আরও একটি ঘটনায় আদালতে জোরদার ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। ঠান্ডা মাথায় খুন করতে পারা একজন কুখ্যাত গ্যাংস্টারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের যে প্রাক্তনীকে, স্পেনে গবেষণা করা সেই হিন্দোল মজুমদারের জামিনও এদিন মঞ্জুর হয়েছে আদালতে। সরকারের তরফে আনা কোনও আপত্তি ধোপে টেঁকেনি। পয়লা মার্চ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর গাড়ি ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। গুরুতর অভিযোগ ওঠে যাদবপুরের প্রাক্তনী হিন্দোল মজুমদারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে, স্পেনে বসে গবেষণা করার সময়ই নাকি হোয়াটসঅ্যাপে ওই বিশৃঙ্খলা তৈরির ছক কষেছিলেন হিন্দোল। স্পেন থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে নামতেই দ্রুত গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। তড়িঘড়ি ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা এনে আদালতে পেশ করা হয়। ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতেও থাকেন হিন্দোল। অবশেষে জামিন পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ তিন তিনটি ঘটনা, যেখানে পুলিশের অতি সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল, সেইসব মামলাতে আদালতের মধ্যেই প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েছে পুলিশ এবং সরকার পক্ষের আইনজীবী।






















