Raju Jha Murder: ২০ ঘণ্টা পার, এখনও অধরা রাজু ঝা-খুনে অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা
Purba Bardhaman:পুলিশ সূত্রের খবর, হাইওয়েতে খুন করে রুট বদলে জিটি রোডে ওঠে দুষ্কৃতীরা।
পূর্ব বর্ধমান: শক্তিগড়ে শ্যুটআউটের পর ২০ ঘণ্টা পার, এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা। দুপুর ১টাতেও ২ নম্বর জাতীয় সড়কে পড়েছিল গুলির খোল।
পুলিশ সূত্রের খবর, হাইওয়েতে খুন করে রুট বদলে জিটি রোডে ওঠে দুষ্কৃতীরা। শক্তিগড় থানার অদূরেই গাড়ি ফেলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলের চারপাশে একাধিক সিসিটিভি, তাও অন্ধকারে পুলিশ। পেশাদারি কায়দায় খুন, ২০ ঘণ্টা পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা।
কেন খুন:
শক্তিগড়ে শ্যুটআউটে খুন দুর্গাপুরের কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা! খুনের নেপথ্যে রয়েছে কয়লার সিন্ডিকেট, প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিশের। সূত্রের খবর, সম্প্রতি ফের কয়লা কারবারে সক্রিয় হয়ে ওঠেন রাজু। সিবিআই কয়লা পাচারের তদন্ত শুরুর পর থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে অনুপ মাজি ওরফে লালার গোষ্ঠী। বর্তমানে ইসিএলের কয়লার টেন্ডারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছিলেন রাজু। ফলে কাজ করতে পারছিল না অন্য গোষ্ঠী। সেই কারণেই কি টার্গেট রাজু? উঠছে প্রশ্ন। ২৬ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের অম্বুজা কলোনিতে বেসরকারি পরিবহণ সংস্থার দফতরের দরজার সামনে গুলি চলে। সেই অফিসে নিয়মিত যাতায়াত ছিল কয়লা মাফিয়া রাজু ঝার। সেই ঘটনার সঙ্গে কি যোগ রয়েছে গতকালের ঘটনার? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, ইলামবাজারের গরুর হাটের মালিক ও গরু পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শেখ আবদুল লতিফ বীরভূমের কয়লা কারবার দেখতেন। সেই সূত্রে লতিফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল রাজুর। তাঁর কাছ থেকে সাহায্য নিত রাজু।
প্রশ্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর:
রাজু ঝা খুনে ফের রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, 'প্রকাশ্যে বিজেপি কর্মীকে খুন করা হল। মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে বসে আছেন। রাজ্যে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটছে। এর অর্থ, মুখ্যমন্ত্রী সব দেখেও চুপ আছেন।'
কী বলেছেন অর্জুন:
তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, 'রাজু ঝা ছোট ভাইয়ের মতো ছিল। বিজেপিতে রাজুর যোগদানের সময় দিলীপ ঘোষ ও আমি ছিলাম। অনেকের সঙ্গেই রাজুর ভাল সম্পর্ক ছিল। অনেক পুলিশ অফিসারের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক ছিল রাজুর।'
রাজনৈতিক তরজা:
রাজু ঝার বিজেপি যোগ নিয়ে খোঁচা বাবুল সুপ্রিয়র। তিনি বলেছিলেন, 'রাজু ঝাকে নিয়েই বিজেপিতে চূড়ান্ত মত বিরোধ হয়। আজ যারা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গেই চূড়ান্ত মতবিরোধ হয়। রাজুকে ঘটা করে বিজেপিতে যোগদান করান দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়। রাজুর হোটেল বড় বড় বিজেপি নেতারা ব্যবহার করতেন এই বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কেন সিবিআই-ইডি তদন্ত হবে না? এই দুষ্টু লোকগুলো সিবিআই-ইডির লিস্ট থেকে কী করে ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে?' দিলীপ ঘোষের সঙ্গেই বাবুলের নিশানায় বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই।
পাল্টা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'আমার হাত ধরে রাজু ঝা বিজেপিতে যোগ দেননি। রাজুর মতো অনেক বড় নেতাই বিজেপিতে এসেছিলেন কে দোষী, সেটা আদালত ঠিক করবে। রাজুর হোটেল ভাড়া নিয়ে বিজেপি বৈঠক করেছে।'
আরও পড়ুন: রাজু ঝা খুনে মোড় ঘোরানো তথ্য, ঘটনার সময় উপস্থিত গরু পাচারে অভিযুক্ত 'পলাতক' লতিফ