শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ব্যাপক আকার নিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে, তৎপর প্রশাসন
প্রথমে নাকে জল ঝরা, সর্দি, কাশি ও জ্বর আসছে, তারপরই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অভিভাবকদের।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: জেলায় জেলায় উদ্বেগ বাড়াচ্ছে শিশুদের শ্বাসকষ্ট ও জ্বর। পূর্ব বর্ধমান জেলায় শিশুদের জ্বর ও শ্বাসকষ্ট ব্যাপক আকার নিয়েছে। এই মুহুর্তে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ১৪০টি শিশু। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাললে প্রতিদিনই প্রায় ৩০-৪০জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বড়দের থেকে এই ভাইরাল ফিবারে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বড়দের মুখে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকালই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বাড়ানো হয়েছে ২০ টি বেড। আগে শিশু বিভাগে ছিল ১২০ টি বেড। বর্তমানে শিশু বিভাগে ১৪০ টি বেড করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাড়ানো হচ্ছে আরও ২০ টি বেড। যা দু তিনদিনের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রথমে নাকে জল ঝরা, সর্দি, কাশি ও জ্বর আসছে, তারপরই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে অভিভাবকদের। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ১ বছরের কম বয়সী শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। এমনকি কোভিড টেস্ট করলে নেগেটিভ হচ্ছে। বর্তমানে ১৪০ টি শিশু ভর্তি আছে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তৈরি রাখা আছে পেড্রিয়াটিক আইসিসিইউ, ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কোনার কারণে বেড়েছে সচেতনতা। কাজেই অল্প সমস্যা দেখা দিলেই শিশুদের নিয়ে তড়িঘড়ি হাসপাতালে আসছেন অভিভাবকরা। ফলে, চিকিৎসা করতে সুবিধে হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে। যদিও, হাসপাতালের চাপ বেড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে দু-সপ্তাহ আগেও গড়ে ১৫জন করে শিশু ভর্তি হচ্ছিল। বর্তমানে শিশু ভর্তির সংখ্যা বাড়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। এমনকি আউটডোরেও একই সমস্যা নিয়ে গড়ে ১০০টি শিশু আসছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গড়ে ৩০-৪০ জন করে ভর্তি হলেও, ৩০-৪০ টি শিশু প্রতিদিনই সুস্থ হয়ে ফিরছে। আশার বিষয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিন চারদিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছে তারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছে ঋতু পরিবর্তনের জন্য প্রতি বছরই হয়। তবে এ বছর একটু বেশিই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।