Nandigram : ৯ বছর আগের প্রধানের লেটারহেড ব্যবহার তৃণমূল সদস্যের ? নন্দীগ্রামে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপি নেতার বাবার
BJP Leader's Father Alleges : লেটার হেডে জ্বলজ্বল করছে নাম...চিত্তরঞ্জন পাল। নামের নীচে লেখা বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান
বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম : ৯ বছর আগে প্রধান ছিলেন। কিন্তু, তাঁরই ফেলে আসা লেটারহেড ব্যবহার করছেন পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। নন্দীগ্রামে (Nandigram) এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেতা (BJP Leader) প্রলয় পালের (Pralay Pal) বাবা চিত্তরঞ্জন পাল। যদিও তৃণমূল সদস্যের দাবি, লেটারহেডে তাঁর সই জাল করা হয়েছে।
লেটারহেড-বিতর্ক-
লেটার হেডে জ্বলজ্বল করছে নাম...চিত্তরঞ্জন পাল। নামের নীচে লেখা বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অথচ চিঠিতে সই রয়েছে অন্যের ! গত ১৩ তারিখ, এই লেটারহেডে একজনের ইনকাম সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। আর এই চিঠি ঘিরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে। কারণ, লেটারহেডে যে চিত্তরঞ্জন পালের নাম রয়েছে, তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ৯ বছর আগে তিনি প্রধান পদ থেকে সরে গেলেও, তাঁর ফেলে আসা লেটারপ্যাড বর্তমানে ব্যবহার করছেন তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য বিশ্বনাথ কামিল্যা। বিষয়টি জানা মাত্রই, বিডিও-কে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি।
নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অভিযোগকারী প্রাক্তন প্রধান চিত্তরঞ্জন পাল বলেন, এতদিন পর পুরনো প্যাড ব্যবহার করে আমার নাম করে বেআইনি কাজ করা হচ্ছে, আমাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে তৃণমূল।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল সদস্য পাল্টা দাবি করেছেন, তাঁর সই জাল করা হয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, অভিযোগকারী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল হলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পালের বাবা। ২১-এর বিধানসভা ভোটের মুখে, ভাইরাল একটি অডিও ক্লিপ ঝড় তুলে দিয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। যে অডিও ক্লিপ নিয়ে বিজেপি নেতা প্রলয় পাল দাবি করেছিলেন, ভোটে সাহায্য চেয়ে তাঁকে ফোন করেছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ছেলের আগেই তৃণমূল ছেড়েছিলেন বাবা। এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা ও চিত্তরঞ্জন পালের ছেলে প্রলয় পাল বলেন, আমার পরিবার স্বচ্ছতার সঙ্গে রাজনীতি করে আসছে। আর সেই পরিবারকে কালিমালিপ্ত করতে শাসক দল গোটা রাজ্যর মত এখানেও চক্রান্ত করছে।
কিন্তু, মূল প্রশ্ন হল ৯ বছর আগের প্রধানের লেটারহেড, অন্য কারও হাতে গেল কী ভাবে?
আরও পড়ুন ; ‘বেআইনিভাবে নিযুক্ত সকলের চাকরি যাবে নভেম্বরে,কলকাতায় জড়ো হয়ে টাকা ফেরত চাইবে’ : শুভেন্দু