(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Suvendu Adhikari : ‘বেআইনিভাবে নিযুক্ত সকলের চাকরি যাবে নভেম্বরে,কলকাতায় জড়ো হয়ে টাকা ফেরত চাইবে’ : শুভেন্দু
Shantanu Sen : দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) নিশানা করার পর বিজেপি (BJP) লোকের চাকরি খেয়ে নিতে চায় বলে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন শান্তনু সেন।
কলকাতা : চলতি বছরের মধ্যেই চাকরি খোয়াবেন বেআইনিভাবে চাকরিপ্রাপ্তরা। তারপর পরিবার নিয়ে কলকাতায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে টাকা ফেরৎ চাইবেন তাঁরা। এই ভাষাতেই নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে ফের রাজ্য সরকারকে আক্রমণ শানালেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) নিশানা করার পর বিজেপি (BJP) লোকের চাকরি খেয়ে নিতে চায় বলে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন শান্তনু সেন (Shantanu Sen)।
'হাজার হাজার চাকরি যাবে' : শুভেন্দু
বনগাঁয় এক সমাবেশ থেকে রাজ্য সরকারকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'নভেম্বর মাসে বেআইনিভাবে নিয়োগ হওয়া হাজার, হাজার লোকের চাকরি যাবে। আর তাঁরা পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় জড়ো হবে। এসে বলবে টাকা ফেরৎ চাই, ফেরৎ দাও। মজাটা দেখবেন আপনারা। দেখতে থাকুন আপনারা। পশ্চিমবঙ্গে তাই তিনটে ইস্যু নিয়ে লড়াই করতে হবে। এক, ঘুষ-মুক্ত মেধা-যুক্ত কর্মসংস্থান চাই। কেন ৪৫ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক বাইরের রাজ্যে যাবে ? কেন ২ কোটি বেকার হবে ? কেন ৩০ লক্ষ রাজ্য সরকারের পদ ফাঁকা থাকবে ? এর জবাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে।'
'চাকরি খেয়ে নিতে চায়' : শান্তনু
পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টি সবসময় চাইছে কীকরে মানুষের চাকরি খেয়ে নেওয়া যায়। আমাদের নেত্রী বলেছেন, কারোর চাকরি যাক, সেটা আমরা চাই না। আর বিজেপি লোকের পেটের ভাত মেরে, লোকের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে দিতে চাইছে। ১ কোটি বেকারের জ্বালা নিয়ে সরকার চালানো শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন।'
এদিকে, ২০২১-এর একটি মামলার সূত্রে শুভেন্দু অধিকারীকে ( Suvendu Adhikari ) নোটিস পাঠিয়েছে তমলুক থানা। গত বছর তমলুক এসপি অফিসের সামনে পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় এবার বয়ান রেকর্ডের জন্য বিরোধী দলনেতাকে নোটিস পাঠায় পুলিশ। তবে নন্দীগ্রামের বিধায়ক এই নোটিসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, এই কেসে অধিকাংশই জামিন পেয়েছেন। তাছাড়া তাঁকে নোটিস দেওয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্টেরও নির্দেশ রয়েছে। তাই তিনি এই নোটিসকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না।